পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন উঠাইয়া, পরে তাহারা ভাগীরথীর মধ্যস্থলে উপস্থিত হইলে গোলার দ্বারা তরীসহ আরোহীদিগকে জলমগ্ন করিয়া করতালি দিতে দিতে মৃত্য করিয়াছিল। ব্ৰহ্মা। কি অত্যাচার! কি পৈশাচিক কাও ! ভাল-ইংরাজ রাজপুরুষদিগের এমন কি অপরাধ হইয়াছিল যে, সিপাহীরা হঠাৎ ক্ষেপে উঠে ? বরুণ। অপরাধ এই, রাজপুরুষেরা কিছু পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকিতে ভালবাসেন, এজন্য একসময় সিপাহীদিগের মালকোচ ছাড়াইয়া জামা এবং টুপি ব্যবহার করান। তাহাতে তাহারা সম্মত হয় বটে, কিন্তু মনে মনে ‘আমাদিগকে সাহেব সাজাইয়া পরে কানে মন্ত্র প্রদানপূর্বক খ্ৰীষ্টান করিবে ভাবিয়া অসন্তোষ প্রকাশ ও পরস্পরে কুমন্ত্রণা করিতে থাকে । ইতিমধ্যে ইংরাজেরা কাগজের টোটা উঠাইয়া দিয়া চামড়ার টোটা প্রচলিত করেন ; উহা দাত দিয়া কাটিয়া বন্দুকে পূরিবার বড় সুবিধা হয়। বর্তমান টােটা প্রচলিত হইলে সিপাহীরা পরস্পরে কহিল, “দেখ ভাই ! এই টোটা একে চামের—তাহাতে আবার চরবি লাগান । অতএব ধৰ্ম্ম আর থাকে না ; এক্ষণে এস—হয় ধৰ্ম্ম রক্ষা, না হয় প্রাণ পরিত্যাগ করি” বলিয়া হিমালয় হইতে কুমারিকা পৰ্য্যন্ত যত সেপাই ক্ষেপে ওঠে এবং অজস্র ইংরাজ বধ করিতে থাকে। ইন্দ্র। আহা! এমন নিষ্ঠুর কাণ্ডও করে ! নারা । সিপাহীদিগের দলের প্রধান ছিল কে ? অর্থাৎ, কাহার অনুমতি অনুসারে তাহারা কাজ করিত ? বরুণ। নানাসাহেব-নামক এক ব্যক্তি কানপুরের সন্নিকটস্থ বিখুর-নামক স্থানে বাস করিত। গবর্ণমেণ্ট তাহার পেনসন বন্ধ করায় অনেক দিন পর্য্যন্ত সে ইংরাজজাতির উপর অসন্তুষ্ট থাকে। পরে সিপাহী-বিদ্রোহ আরম্ভ হইলে ইংরাজদিগকে জব্দ করিবার এই উপযুক্ত সময় ভাবিয়া উহাদের নিকটে যাইয়া কহে, “আমাকে যদি গোলা-গুপি ও বারুদ প্রদান করেন, বিদ্রোহানল নিৰ্ব্বাণ করিয়া দিতে পারি।” ইংরাজের ভাহার কথায় বিশ্বাস করিয়া বারুদের গুদাম প্রদান করিলে দুরাত্মা কতক অগ্নিস্থার নষ্ট করিয়া অবশিষ্ট সিপাহীদিগকে দিয়া তাহাজের দলে প্রবেশ পূর্বক অজস্র ইংরাজদিগকে হত্যা করিতে লাগিল। ব্ৰহ্মা। পরিশেষে নানাসাহেব ও সিপাহীদিগের কি অবস্থা ঘটে । বরুণ। ইংরাজেরা সিপাহীদিগকে ধরে এনে ক্রমান্বয়ে তোপে উড়াইয়া দিতে 中够