পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বিদায় দিয়া একটি দোকানে গিয়া বসিলেন । পশ্চিমে স্বভাবতঃ অত্যন্ত শীত ; সে দিন আরো শীত বোধ হওয়ায় তাহারা আর স্নান করিলেন না, কাপড় ছাড়িয়া সন্ধ্যা আহিক সারিলেন এবং জলযোগে বসিয়া গেলেন। যথা সময়ে আহারাদি সমাপ্ত হইলে সকলে যাইয়া কেশববাগের সন্নিকটে উপস্থিত হইলেন । নারা । বরুণ ! একটা গ্রামকে গ্রাম এই যে অট্টালিকাশ্রেণী দেখা যাচ্চে, ইহা কি ? বরুণ। ইহার নাম কেশববাগ । ইহার মধ্যে নবাব ওয়াজাদ আলি শার বাহান্নোটি অন্দর মহল আছে, ইহাতে র্তাহার বেগমেরা বাস করিত । ইন্দ্র । এত বেগম ! বরুণ। “নবাব কলিযুগের মুসলমান কৃষ্ণ ছিলেন। তিনি আমাদের দেশী কৃষ্ণের উপাখ্যান শুনিয়া ঠিক সেই মত কাজ করিতেন। কেশববাগের মধ্যে কুঞ্জবন, নিকুঞ্জবন, বস্ত্রহরুণ-বৃক্ষ ইত্যাদি সকলই আছে।” এই বলিয়া সকলে পশ্চিম দিকের গেট দিয়া প্রবেশ করিলেন । ব্ৰহ্মা । যে নবাব এরূপ ইন্দ্রিয়পরায়ণ, তাহার রাজকাৰ্য্য চলতে কিরূপে ? বরুণ। পাঁচ জনে গোলে হরিবোল দিয়ে ভূতের বাপের শ্ৰাদ্ধ করিত । নবাবের শ্বশুর ইহাদের মধ্যে সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব ছিল। ঐ দুরাত্মা নিজে সিংহাসনে বসিবার অভিপ্রায়ে নবাবের চরিত্র সম্বন্ধে গবর্ণরকে পত্র লেখে । তখন লর্ড ডেলহাউসি গবর্ণর ছিলেন। তিনি পত্রপাঠ লক্ষেী আসিয়া কৌশলে নবাবকে কলিকাতায় ধরিয়া লইয়া যান এবং রাজকাৰ্য্য নিজ হস্তে লন । নবাব “মূঢ়ীখোলার নবাব” নামে প্রসিদ্ধ হইয়া অদ্যাপি কলিকাতায় বাস করিতেছেন। * রাজ্যধন সৰ্ব্বস্ব খুইয়ে আজ কাল তার চিড়িয়াখানার বড় মক হইয়াছে, রাত দিন পশু পক্ষী নিয়েই আছেন। ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট তাহাকে বাৎসরিক কয়েক লক্ষ টাকা বৃত্তি দিয়া থাকেন। তাহার খামখেয়ালী ও নিৰ্ব্ব দ্বিতার অনেক কথা প্রচলিত আছে। একবার এক জন ভৃত্য র্তাহার বৈঠকখানায় কাচের ঝাড়গুলি পরিষ্কার করিতেছিল, তাহার হাত লাগিয়া ঝাড়ের একটি কলম খসিয়া মেজের উপর পড়ে, তাহাতে টুন্‌ করিয়া একটি যুদ্ধ ধ্বনি হয়। নবাব সেই শব্দ শুনিয়া

  • ইংরাজি ১৮৮৭ সালে হতভাগ্য নবাবের মৃত্যু হইয়াছে ।

2 .