পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কে বলিলেন, “বেশ মিষ্ট আওয়াজ ত!” এই বলিয়া তিনি সেই বহুমূল্য সমস্ত ঝাড়গুলি ভাঙ্গিয়া ফেলিতে আদেশ করিলেন, ও সেই ঝাড় ভাঙ্গার শব্দ গুনিয়া হাস্য করিতে লাগিলেন । একদিন সন্ধ্যার সময় শৃগালের ডাক শুনিয়া কৰ্ম্মচারীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “শৃগালের কঁদে কেন ?” ধূৰ্ত্ত কৰ্ম্মচারী বলিল, “শীতকালে গায়ের কাপড় অভাবে শীতে কষ্ট বোধ হওয়াতে উহার কাদিতেছে।” তৎক্ষণাৎ নবাব তাহাদের প্রত্যেককে একখানা করিয়া শাল দিবার জন্য হুকুম দিলেন । কৰ্ম্মচারীরা শালের মূল্য পরস্পবে ভাগ করিয়া লইল । পরদিন সন্ধ্যার সময় শৃগালগণ যথারীতি চীৎকার করিলে নবাব পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “শৃগালের আবার কাদে কেন ?” কৰ্ম্মচারী উত্তর করিল “উহারা শাল পাইয়া মহানন্দে নবাবের স্তুতিবাদ করিতেছে।” ইন্দ্র । এক্ষণে কেশববাগে আছে কে ? বরুণ। নবাবের দুই এক জন জ্ঞাতি কুটুম্ব বাস করিতেছেন। নারা। মধ্যস্থলে ঐ ক্ষুদ্র বাধা পুষ্করিনীটি কি,—যাহার উপর একটি সেতু দেখা যাইতেছে ? বরুণ। দোলের সময়ে নবাব ঐ সরোবর ভাল গোলাপজল দ্বারা পরিপূর্ণ করিয়া তাহাতে বস্তা বস্তা আবীর ঢালিতেন এবং পিচকারী করিয়া লইয়া বেগমদিগের গাত্রে দিতেন । বেগমেরাও পরম্পর পরম্পরের গাত্রে এবং নবাবের গাত্রে পিচকারি দিয়া লালে লাল করিত। এই আমোদের সময়ে নবাব কখন বা নিজে ছুটে গিয়ে সেতুর উপর হতে ডিগবাঙ্গী খেয়ে জলে পড়িতেন এবং আবার ছুটে এসে ছোট ছোট বেগমগুলোকে পাজ ক'রে নিয়ে জলে ফেলে দিয়ে করতালি দিতেন । নারা। নবাব লোকটা ত খুব রসিক ছিল । ইন্দ্ৰ। আচ্ছ এগুলো কি,—এই খামের উপর খিলান করা ? বরুণ। “ইহার কোনটির মধ্যে নবাব কখন ফকির সেজে পীরের গান করিতেন। কোনটিতে কখন বৈরাগী সেঙ্গে খঞ্জনী হাতে ক’রে এসে নেচে নেচে বাউলের গান বেগমদিগকে শুনাইতেন। বেগমের তাহাকে প্রদক্ষিণ পূৰ্ব্বক হেসে হেসে মরতো। এই কেশববাগের মধ্যে জয়পুরের শ্বেত পাথরে নির্মিত তিনটি jo 争》