পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন গৃহ আছে। মাটির তলায় এখানে অনেকগুলি ঘর দেখিতে পাওয়া যায়, উহাতে নবাব গ্রীষ্মকালে বাস করিতেন। এই কেশববাগের চারিটি গেট ।” এই বলিয়া সকলে উত্তর দিকের গেট দিয়া বাহির হইলেন। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! বরুণ ! ঐ অত্যুচ্চ রথের স্তায় ওটা কি,-যার মস্তকে একটা মস্ত ছাতা ? বরুণ। মসজিদের মস্তকে ছাতা থাকায় উহার নাম ছত্ৰ-মসজিদ হইয়াছে। ঐ প্রকাও ছাতাটি এক সময় স্ববর্ণের ছিল ! তখন উহার ঝালর মণি মুক্তার দ্বারা শোভিত হইত। এক্ষণে যে ছাতা দেখিতেছেন, উহা গিলটির । ঐ মসজিদ সৰ্ব্বসমেত পাচতালা, তন্মধ্যে একতালা মাটির মধ্যে আছে। ইন্দ্র । ছত্ৰ-মসজিদের দক্ষিণ দিকে ও একতাল। বাড়ীটি কি ? বরুণ । উহার নাম মতিমহল। উপকথায় যে শুনা ছিল “সোণার গাছে হীরের ফল” তাহা নবাব নিৰ্ম্মাণ করিয়া ঐ বাড়ীতে রাখিয়াছিলেন । অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টবে ঐ সমস্ত বৃক্ষগুলি থাকিত। কোনটির রূপার ডাল, সোণার পাত, হীরের ফল। কোনটির বা সোণার ডাল, রূপার পাতা, মুক্তার ফল ইত্যাদি। অসংখ্য মালী বেতন করা ছিল, তাহারা বৃক্ষগুলিকে তাজা রাখিবার জন্য সকাল বিকাল নিয়মিতরূপে প্রত্যেক বৃক্ষে গোলাপজল সেচন করিত এবং শাখা প্রশাখায় ফলে-ফলে ভাল আতর মাথাইত । এখান হইতে দেবতারা বেলিগার্ড নামক স্থানে যাইলেন । তথায় উপস্থিত হইয়া নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ ! এ স্থানের নাম কি ? আর প্রাচীরে এ সমস্ত দাগ কিসের ?” বরুণ। “এ স্থানের নাম বেলিগার্ড । এখানে সেপাই মিউটিনির সময় ইংরাজদিগের সহিত সেপাইদিগের একটি যুদ্ধ হইয়াছিল। প্রাচীর ইত্যাদিতে যে দাগ দেখিতেছ, উহা সেই যুদ্ধের গোলার দাগ। আর ঐ যে কতকগুলি কবর দেখিতেছ, উহাতে হেনরি লরেঞ্চ, প্রভৃতি বিখ্যাত রাজপুরুষগণ (যাহারা ঐ সময়ে হত হন) চিরনিদ্রায় অভিভূত আছেন। লক্ষ্মেী নগরে আলমবাগ ও সেকেন্দ্রাবাগ নামক আর দুটি যুদ্ধ ক্ষেত্র আছে।” এই বলিয়া, সকলে পোল পার হইয়! বাদসাবাগে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । বরুণ । উহা নবাবের স্নানাগার। ঐ স্নানাগারে ফোয়ারার দ্বারা নদী ॐ *