পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষেী হইতে জল আসিত। ওদিকে দেখুন রোসেন-উদ্দৌলার কুঠি ছিল। উহা নগরের মধ্যে একটি উৎকৃষ্ট বাড়ী। এক্ষণে ঐ স্থানে গবর্ণমেণ্টের কয়েকটি আফিস হইয়াছে। নদীর তীরে যে ঐ একটি মসজিদ দেখা যাইতেছে, উহাও নবাবের কৃত । সম্প্রতি উহা সাহেবদিগের সভাগৃহ ইত্যাদিতে পরিণত হইয়াছে। ব্ৰহ্মা । আচ্ছা—ওদিকের ও বাগানটি কাহার ? এমন বৃহৎ বাগান তো কখন চোখে দেখি নাই ! ভিতরে যেতে দেবে কি ? “চলুন যাই” বলিয়া বরুণ সকলকে লইয়া উদ্যান মধ্যে প্রবেশ করিলেন এবং কহিলেন “এ উষ্ঠানটিও নবাবের । নবাব স্বভাবতঃ বড় সোঁখীন লোক ছিলেন । এজন্য যেখানে যত উৎকৃষ্ট ফল ফুলের গাছ দেখিতেন, এখানে এনে রোপণ করিতেন । এই বাগানে এমন উৎকৃষ্ট আম্রবৃক্ষ আছে—যাহা স্বর্গেও নাই । বাগানটি এক্ষণে কপূৰ্বতলার মহারাজার অধিকারে আছে।” এখান হইতে দেবগণ গাজিউদ্দিন হাইদারের কবর দেখিতে যান । ঐ স্থানে অনেকগুলি নবাব ও বেগমের প্রতিমূৰ্ত্তি এবং অপরাপর অনেক দেখিবার যোগ্য আশ্চর্য্য আশ্চৰ্য্য দ্রব্য আছে । বাসায় আসিয়া সকলে গল্প করিতেছেন, এমন সময়ে দেখেন, রাস্ত দিয়া অসংখ্য লোক যাইতেছে । কারণ অনুসন্ধানে জানিলেন, একজন ধনী মাড়োয়ারীর পুত্রের বিবাহ উপলক্ষে তথায় ভাল বাই, সুরদাস অন্ধের সেতার বাদ্য, এবং কালকা ও কেদারের মৃত্য গীত হইবে। তখন নারায়ণ কহিলেন “বরুণ ! চল ভাই—বাইনাচ দেখে আসি। লক্ষ্ণৌত্রর বাই বড় বিখ্যাত । অতএব লঙ্কে এসে বাইনাচ না দেখলে দেখলাম কি।” র্তাহার কথায় সকলে সন্মত হইলেন এবং গাত্রোথান করিয়া নৃত্যগীত দেখিতে চলিলেন। যাইয়া দেখেন মেনকা, উৰ্ব্বশী ও তিলোত্তম সদৃশ এক যুৱতী দাড়াইয়া কোকিলকণ্ঠে গান করিতেছেন। স্বরে ও রূপে দেবগণের মাথা ঘুরিয়া গেল। র্তাহারা অবাক হইয়া গালে হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন এবং মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন, “অমরাবতীতে মেনকা প্রভৃতিকে অদ্বিতীয়া স্বন্দরী ভেবে আমরা গৰ্ব্ব করিতাম ; কিন্তু মর্ত্যেও দেখিতেছি তাহাজের স্তায় মুন্দরী আছে ” ক্রমে বাইনাচ থামিল। তখন স্বরদাস সেতারায় ঝঙ্কার দিয়া বাস্ত আরম্ভ করিল। সে ব্যক্তি ঐ এক যন্ত্রের সাহায্যে বেহালা প্রভৃতির বোল বাহির করিলে 38