পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্গেী করে। বাড়ীটি সাত তালা। প্রত্যেক তালার ছাদ খিলানের উপর । এই বাড়ীতে নবাবের মাত্রাসা ছিল । নারা। ভারতবাসীদিগের ছেলেরা লেখাপড়া শিখে না ? বরুণ । তাঁহাদের জন্য এখানে একটি কলেজ আছে । তাহাকে লক্ষেী ক্যানিং কলেজ বলে। সে বাড়ীও বেশ । এই কলেজ প্রধানতঃ রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের যত্বেই স্থাপিত হয়! বাটীর সম্মুখে দুটি বড় চমৎকার কবর আছে। ব্ৰহ্মা। রাজা দক্ষিণারঞ্জন কে ? বরুণ। ইনি একজন বাঙ্গালী কুলীন ব্রাহ্মণের সস্তান। ইহার পিতা কলিকাতায় এক ধনী পিরালীর গৃহে বিবাহ করিয়া শ্বশুরালয়েই বাস করিতেন । দক্ষিণারঞ্জন অতি স্থপুরুষ, এবং তাহার বুদ্ধিও অতি প্রখর। তিনি কলিকাতার হিন্দু কলেজে প্রবিষ্ট হইয়া শীঘ্রই একজন বুদ্ধিমান ছাত্র বলিয়া পরিগণিত হন। সে সময়ে হিন্দু কলেজে ডিরোজিওর নামক একজন ফিরিঙ্গী যুবক অধ্যাপক ছিলেন। সেরূপ অসাধারণ মনস্বী সংসারে অতি বিরল। দক্ষিণারঞ্জন ডিরোজিওর প্রিয়তম ছাত্র ছিলেন। কিন্তু যৌবনের সঙ্গে তাহার চরিত্র উচ্চুম্বল হইয়া পড়িল, তিনি ঘোর স্বরাপায়ী হইয়া উঠিলেন। শেষে তাহার চরিত্র এতদূর কলুষিত হইল যে, র্তাহার আত্মীয়েরা ঔষধ খাওয়াইয়া অজ্ঞান করিয়া তাহাকে কাশীতে পাঠাইলেন । কাশী হইতে ফিরিয়া ফিরিয়া গিয়া তিনি আবার মদ্যপানাদি আরম্ভ করিলেন। ইহার কিছুকাল পরে বদ্ধমানের বিধবা রাণী বসন্তকুমারীর সহিত র্তাহার পরিচয় হয় । তিনি বসন্তকুমারীর দেওয়ান হইলেন । পরিচয় ক্রমে অবৈধ প্রণয়ে পরিণত হইল। এক দিন স্থযোগ পাইয়া দক্ষিণারঞ্জন রাণীকে লইয়া কলিকাতাভিমুখে পলায়ন করিলেন। রাজভবনে এ সংবাদ প্রচারিত হইবামাজ পলাতকগণকে ধরিবার জন্য অশ্বারোহী সৈনিক সকল প্রেরিত হইল । তাহারা উভয়কে ধরিল ও দক্ষিণারঞ্জনকে হত্যা করিতে উষ্ঠত হইল। এমন সময়ে কয়েক জন ইংরাজ সেখানে আসিয়া পড়ায় তাহার প্রাণরক্ষা হইল। রাণী বসস্তকুমারী পুনরায় বদ্ধমানে আনীত হইলেন। কিন্তু ইহার অল্প দিন পরেই তিনি আবার স্বীয় প্রণয়ীর সহিত মিলিত হইলেন। প্রাণের ও লোকলজ্জার ভয়ে দক্ষিণারঞ্জন রাণীকে লইয়া লক্ষেী নগরে আসিয়া বাস করিলেন। অসাধারণ বুদ্ধি প্রভাবে তিনি শীঘ্রই লক্ষ্মেী নগরে প্রতিপত্তি লাভ করিলেন। এমন কি, লম্বেীএর তালুক aé