পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজের লেখা প্রায় প্রকাশ করিতেন না । এইসব জালোচনায় ঘণ্টায় পক্ষ ঘণ্ট। কাটিয়া যাইত এবং তর্জন-গর্জন ও কড়ি ফাটান হাস্তে পাড়া সব গরম হইয়া বাইত। -- vদ্বিজেন্দ্রনাথের ভাষায় এ আলোচনা ছিল গজকচ্ছপের যুদ্ধের মত । vদ্বিজেন্দ্রনাথ একবার নিজে না জাসিতে পারিয়া হেমেন্দ্ৰ নাথ সিংহের হাতে এক পত্র দিয়া পাঠান । তাহাতে একস্থানে ছিল—‘এবার দ্বিজে গজে নয় এবার সিংহে গজে বোঝাপড় । দ্বিজেন্দ্রনাথ ও হেমচন্দ্রের এই আস্তরিক ও সরস সম্পর্কটি বিস্তৃত বর্ণনা করতে হচ্ছে কারণ স্বরলোকে বঙ্গের পরিচয় গ্রন্থটির অনামা লেখক হিসেবে আমরা হেমচন্দ্রকেই অনুমান করছি । ভড়fজ সম্বন্ধে দ্বিজেন্দ্রনাথ বলেছেন— "ভড়জির অট্টহাসি বডড জমকালো, বুডঢার সদরে তার অডিডা জমে ভাল।” এই হেমচন্দ্র সম্বন্ধে দ্বিজেন্দ্রনাথ আরও লিখেছেন— ‘পাষাণ মুরতি মদ, সর্দারের প্রায়, লাঠি হাতে ভাবে ভোর বাল্মিকীর জয় ।” বলা বাহুল্য বাল্মিকীর জয় বোঝাতে এখানে বাল্মিকী যন্ত্র ( Press ) বোঝান হচ্ছে। এই সমস্ত তথ্য আমরা পেয়েছি হেমচন্দ্রের আশ্রিত পুত্রপ্রতিম ডঃ বনবিহারী মুখোপাধ্যায়ের লেখা পত্র থেকে । বনবিহারী নিজেও তীব্র ব্যঙ্গাত্মক লেখা লিখতেন তাই জনপ্রিয় নন। তিনি হেমচন্দ্রকে বলেছেন, তার ‘বন্ধুশ্রেষ্ঠ, গুরু ও শিক্ষাদাতা । দ্বিজেন্দ্রনাথের সঙ্গেও তার আলাপ ছিল । এই ব্যঙ্গরসিক বনবিহারীর গুরু হেমচন্দ্রই স্বরলোকে বঙ্গের পরিচয় গ্রন্থটির অঙ্কুমিত লেখক । এই প্রসঙ্গে আরো কয়েকটি অম্বুমান উদ্ধার করেছি। স্বরলোকে বঙ্গের পরিচয় প্রথম খণ্ডটির প্রকাশক কালীকিংকর চক্রবর্তী—যিনি রবীন্দ্রনাথের প্রথম দিকের গ্রন্থেরও প্রকাশক । দ্বিতীয় খণ্ডটিরও প্রকাশক কালীকিংকর চক্রবর্তী এবং বাল্মিকী ঘস্ত্রেরও নাম এখানে রয়েছে। আগেই বলেছি স্থলাজ যমসম পুরুষ হেমচন্দ্র এবং বাল্মিকী ঘন্ত্রকে দ্বিজেন্দ্রনাথ একাকার করে দিয়েছেন "বাল্মিকীর জয়’ কথাটি লিখে । দুটি খণ্ডেরই আখ্যাপত্রে যে শ্লোকটি উদ্ধার করা হয়েছে, তা হল ‘হিতং মনোহারি চ দুৰ্লভং বচ: এই বিখ্যাত উক্তিটি দ্বিজেন্দ্রনাথের খুবই প্রিয় ছিল। তিনি এটি হিতবাদী পত্রিকার motto হিসেবেও মুজিত করেছিলেন। \చి