পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষেী গুড়গুড়ি (মাদারিয়া) কিনলে হয় না ? কারণ কলিছ কাটা যদি হারায়, বড় কষ্টবোধ হইবে। এ দুই চারিট যাইলে দুঃখ নাই। বরুণ এ কথায় সম্মত হইলেন এবং একটি পয়সা গুড়গুড়ি মায় কলকে এবং জলখাবারের জন্য চারি কড়া কড়িও প্রাপ্ত হইলেন । এই সময়ে একজন পানবিক্রেতা দেবগণকে কহিল “বাৰু! পান খাবেন না ? বড় চমৎকার থিলি, এক টাকার লউন । লক্ষে এসে পানের থিলি না খেলে খেলেন কি ?” ব্ৰহ্মা এক টাকার থিলি কি করবো? আমাদের কি ছেলে-মেয়ের বে যে এত থিলির দরকার ? দোকা। এত কষ্ট বাবু! বেশী তো নয়, টাকায় দুটো । ব্ৰহ্মা । উঃ বাবা! টাকায় দুটো ? এমন সময়ে কতকগুলি বেহা আসিয়া দেবগণের হাত ধরিল এবং গান শুনিবার জন্য টানাটানি আরম্ভ করিল। দেবতারা “আমর! হাত ছাড ” “অা মৰু! হাত ছাড়, !” বলিয়া সরিয়া যাইতে লাগিলেন । এই সময়ে গুলির আড়ার কৰ্ত্তার হেঁড়ে-গলায় “বাৰু চণ্ডু, চরস, গাজ, গুলি যা ইচ্ছা এক এক টান টেনে গান শুনতে যাবেন” বলিয়া চীৎকার আরম্ভ করিল। দেবগণ বেগতিক দেখিয়া দ্রুতপদে চক হইতে পলাইয়া ভৈরবনাথের মন্দিরের নিকটে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “পিতামহ । মন্দিরের নিকট একটি ক্ষুদ্রাবয়ব শ্বেত অশ্বখগাছ দেখুন। ইহা যে কতকালের, তাহ স্থির হয় না।” ব্ৰহ্মা । ভাই, যেখানে বেখাতে এলে হাত ধরে, সে স্থানে ক্ষণকাল থাকা মহাপাপ । আর আমাদের এখানে থাকিবার আবশ্বক করে না, চল অদ্যই বারাণসী যাত্রা করি । বরুণ। ঠাকুরদা! আপনি একবার হাত ধরাতে এত দুঃখ করচেন, আজ এ ঘটনা বাঙ্গালী নব্য বাবুদিগের মধ্যে হইলে কত আমোদই হইত। ক্রমে সকলে ষ্টেশনে যাইয়া বারাণসীর টিকিট লইয়া ট্রেণের অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। বরুণ কহিলেন, “পিতামহ ! এই নগরে সাতাইশরকম আশ্চর্ধ্য জিনিস দেখিবার আছে। এখানকার পানীফল ও তরমুজ বড় বিখ্যাত। চকের সন্নিকটে অনেক ধনী সদাগর বাস করেন। লক্ষ্ণৌত্রর লোকেরা বড় খরচে । আগা মীরের দেউড়ি বড় উৎকৃষ্ট, এমন বাড়ী লঙ্কোঁত্র দ্বিতীয় নাই। লঙ্কেীর্তুংরি নামক ሕፃ