পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন যে গান আছে, তাহার প্রথমে এই স্থানে স্বাক্ট হয় । আহা ! ঠাকুরদা। নৈমিষারণ্য দেখে এলে হতো।” ব্ৰহ্মা ! কোথায় সে স্থান ? বরুণ। এই লক্ষেীএর পর গোটাকতক ষ্টেশন উজান যাইয়া শাণ্ডিলা নামক স্থানে নামিতে হয়, তথা হইতে নৈমিষারণ্য অনূন ১৫ ক্রোশ পথ হইবে। ষ্টেশনে ডুলীর অভাব নাই। ব্ৰহ্মা। না ভাই, আর কাজ নাই, তবে কলিকাতায় যাইবার পথে হইলে যাহা হয় করা যাইত। বাড়ী ছেড়ে যেমন কখন প্রবাসে আসি নাই, তেমনি প্রাণটা যেন হাপো হাপো করিতেছে, এখন ভালয় ভালয় কলিকাতা দেখে শীঘ্র শীঘ্র ফিরিতে পারলে বাচি! ইন্দ্র । নৈমিষারণ্যে আছে কি ? বরুণ। তথায় দধীচি মুনির আশ্রম আছে। বৃত্রসংহারসময়ে তুমি দেবগণসহ তাহার নিকটে যাইয়া বজ্ৰ-নিৰ্মাণ জন্য অস্থি প্রার্থনা করিলে মুনিবর বলেন, “দেবরাজ ! আমি নিজ অস্থি তোমাকে প্রদান করিব প্রতিজ্ঞ করিতেছি ; কিন্তু কিছুদিনের জন্য অবসর প্রদান কর, আমি একবার তীর্থ পৰ্য্যটন করিয়া আসি । কারণ অদ্যাপি আমার তীর্থ পৰ্য্যটন কাৰ্য্য শেষ হয় নাই।” কিন্তু তুমি তাহার জন্য এত অস্থির ব্যগ্র হইয়াছিলে যে, মুনিকে বলিলে “হে তপোধন। আর আপনার তীর্থ পর্যটনের আবশুক করে না ; আমি পৃথিবীর যাবতীয় তীর্থকে এই স্থানে আনাইয়া দেখাইতেছি । সেই জন্য এক সময়ে যাবতীয় তীর্থ নৈমিষারণ্যে দেখা দিয়াছিল। তদ্ভিন্ন সেখানে একটি কুণ্ডও আছে। উহাকে পূর্বে ব্ৰহ্মকুণ্ড কহিত । শ্রীরামচন্দ্র রাবণবধজনিত ব্ৰহ্মহত্যা-পাপে লিপ্ত হইলে তাহার হন্তের দাগ কিছুতেই উঠে নাই, ঐ কুণ্ডে প্রক্ষালন করায় উঠিয়া যাওয়াতে তিনি কুণ্ডের নাম পাপ-হরণ-কুণ্ড দিয়া, এই বর দেন - অতঃপর যে কোন পাপী এই কুণ্ডে স্নান করিবে, তাহার সর্বপাপ মোচন হইবে। ঐ নৈমিষারণ্যে গরুড় গজকচ্ছপকে লইয়া গিয়া ভক্ষণ করিয়াছিল। তদ্ভিন্ন ঐ স্থানে ললিতাদেবীর প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। অনেকে বলে—উহা বায়ান্ন পীঠস্থানের মধ্যে একটি পীঠস্থান। ক্ৰমে ট্রেন আসিয়া উপস্থিত হইল । দেবগণ যাইয়া উঠিয়া বসিলেন। ট্রেন ৰূপান্থপ শব্দে অযোধ্যায় আসিয়া যাত্রীর জন্ত থামিয়া রছিল। ob”