পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষেী ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ কোন ষ্টেশন ? বরুণ । এ স্থানের নাম অযোধ্যা । ভগীরথ এবং শ্রীরামচন্দ্র এই স্থানে রাজ্য করিয়াছিলেন। ব্ৰঙ্ক । এখানে নামিলে হুইত না ? বরুণ । আঞ্জে, এখানে দেখিবার মত কিছুই নাই । কেবল দশরথের বাটতে একটি বেদী আছে। লোকে বলে—ঐ বেদীর উপর রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। অদ্যাপি যাত্রীরা যাইয়া বেদী প্রদক্ষিণ করিয়া থাকে। বেদীর নিকটে এক যোড়া জাত ও একটি উনান আছে! অনেকে বলে—রামচন্দ্র সীতাকে বিবাহ করিয়া আনিলে যে বৌভাতের যজ্ঞ হয়, তাহাতে ঐ উনানে রান্না এবং ঐ জাতীয় ডাইল ভাঙ্গ হইয়াছিল। এখানে রামের অপেক্ষ হকুমানের বেশী সমাদর। একটি উৎকৃষ্ট মন্দিরে হনুমানজী আছেন। মন্দিরের মধ্যে একটি ভাল চাদোয়া ও উৎকৃষ্ট ছাতা আছে। পশ্চাদ্ভাগের একটি গৃহে রাম, লক্ষ্মণ, ভরত, শক্রয় এবং সীতার প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। কিন্তু যাত্রীদিগের নিকট র্তাহাদের তাদৃশ সমাদর নাই । বশিষ্ঠাশ্রমে ভগবতীর প্রতিমূৰ্ত্তি আছে এবং একটি কৃপও দেখিতে পাওয়া যায়। ঐ কূপের নিকট শ্রীরামচন্দ্র বাল্যকালে ভ্রাতৃগণসহ ক্রীড়া করিতেন এবং কখন কখন জলে লাফাইয়া পড়িতেন। সরযূ নদীতে রামঘাট ও স্বৰ্গঘাট নামে ছুটি উৎকৃষ্ট ঘাট আছে। রামঘাটের সদৃশ ঘাট আর পৃথিবীতে আছে কি না সন্দেহ। প্রাতঃকালে ও সন্ধ্যাকালে যখন রামায়ত বৈষ্ণবগণ এই ঘাটে বসিয়া মধুর রাম-নাম উচ্চারণপূর্বক স্তোত্র পাঠ করে, শুনিলে মনে এক আশ্চৰ্য্য ভাবের উদয় হয়। এখানকার মোহাস্ত প্রকৃত সাধু এবং সিদ্ধপুরুষ যত অতিথি উপস্থিত হউক, তিনি কাহাকেও বিমুখ করেন না। নগরবাসীরা প্রত্যহ সন্ধ্যার সময় গৃহে ধূপ-দীপ জাগিয়া যখন রাম রাম শব্দের সহিত শঙ্খঘণ্টার শব্দ করে, তখন মন বড় প্রফুল্ল হয় এবং পূৰ্ব্ব অযোধ্যার সেই সমস্ত ভাব যেন চক্ষের উপর আসিয়া নৃত্য করিতে থাকে। এখানকার রাস্তাঘাট বড় উত্তম। নগরবাসীদিগের মধ্যে রামায়ত বৈষ্ণবের সংখ্যাই বেশী ! * পুনরায় ট্রেণ ছাড়িল এবং সিকরোল ষ্টেশনে আসিয়া উপস্থিত হইল। +

  • অযোধ্যায় এক শিব এবং কালীমূৰ্ত্তি আছে। অনেকে ৰলে রাজা দশরথ উহা প্রতিষ্ঠা করেন । * আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি, তখন বারানসীতে ষ্ট্রেশন হয় নাই ।

芯》