পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ব্ৰহ্মা এক সময় বিষ্ণু চক্র দ্বারা এক পুষ্করিণী খনন করিয়া তাহ নিজে গাত্রের স্বেদে পরিপূর্ণ করেন এবং তীরে বসিয়া পাঁচ-সহস্ৰ-বৎসর শিবের আরাধনা করিতে থাকেন। নারায়ণের ঘোরতর তপস্তা দেখিয়া মহাদেবের শিরঃকম্প হওয়ার র্তাহার কর্ণ হইতে কর্ণভূষণ খসিয়া পড়ে বলিয়া এই স্থানের নাম মণিকণিকা হইয়াছে । চক্র দ্বারা এই সরোবর খনন করা হয় বলিয়া ইহাকে চক্ৰতীর্থও কহে । শিব নারায়ণকে বর দিতে চাহিলে তিনি এই বর প্রার্থনা করেন, যে ব্যক্তি এই স্থানে মরিবে, মৃত্যুর পর সে যেন বৈকুণ্ঠে যাইয়া বাস করে। এই ঘটনার পর গঙ্গা মৰ্ত্তে আসিয়া মণিকণিকার সহিত মিলিত হওয়ায় ইহা মহাতীর্থ হইয়াছে। এই স্থানেই রাজা হরিশ্চন্দ্র শব আগলাইতেন । বরুণ । আজ্ঞে এই ঘাটই হচ্চে কাশীর মড়াঘাট। এখানে অদ্যাপিও প্রতিদিন কত শবদাহ হয়, তাহার সংখ্যা নাই। আপনি যে চক্রতীর্থের কথা কহিলেন, সে স্থান ওদিকে দেখুন লৌহ রেল দ্বারা পরিবেষ্টন করা রহিয়াছে। স্বানান্তে দেবতারা উপরে উঠতেছেন, এমন সময়ে ব্রহ্মা বাঁশের দ্বারা একটি মৃত ব্যক্তির মস্তক ফাটাইতে দেখিয়া নারায়ণকে কহিলেন “নারায়ণ ! আমার মানুষের শেষ দশা দেখ! আহা ! মনুষ্যগণ ঐ শরীর রক্ষার জন্য কত চেষ্টা পায়, সকল দ্রব্যই আমার আমার’ বলিয়া কত যত্ন করে, একদিনও শেধের এই দশা মনে ভাবে না।” উপরে উঠিয়া দেবরাজ কহিলেন “দেখুন পিতামহ। বেলা হইয়াছে, এই স্থানে কিছু জলযোগ না করিয়া নগরে প্রবেশ করা উচিত নহে ।” ব্ৰহ্ম । আমি ভাই অদ্য কিছু আহার করিব না ; কারণ তীর্থস্থানে আসিয়া প্রথম দিবস উপবাস করিয়া থাকা বিধি । নারা। তবে আমরাও আজ কিছু আহার করিব না, উপবাস করিয়া বুহিলাম । ব্ৰহ্মা । না, না , তোমরা উপবাস করবে কেন ? ছেলেমানুষ ; তা হ’লে কষ্ট হবে। এক কাজ কর, কিঞ্চিৎ চিনি কিনে এক এক বাটি সরবৎ করে খাও ; কারণ সমস্ত রাত্রি ট্রেনে এসে শরীরটে ক'লে রয়েছে। ইন্দ্র । আজ্ঞে না, প্রথমে চেষ্টা করি, তার পর শেষে যা হয় হবে। এক্ষণে কাশী আসিয়া যাহা যাহা আবশ্বক, করিতে আজ করুন। 8 જ ર