পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

CM\5 fţa স্থানীয় বৃদ্ধ পণ্ডিত মহাশয়ের আশীৰ্ব্বাদ সর্বাপেক্ষা স্মৃহিণীয় সম্পৎ বলিয়া মনে করিতেন। যাহা হোক। রামগোপাল বাবু যখন কিছু কাল পরে সহরে রোওয়ানা করিলেন, তখন গ্ৰাম বাসিগণ বিস্ময়ে চাহিয়া দেখিল-তঁাহাঁর সঙ্গে শিরোমণি মহাশয়ের মধ্যম ও ছোট পুত্র উরফে জয়কালী ও রামকালী ভট্টাচাৰ্য্য ইংরাজী পড়িবার জন্য টােলের পাত তাড়ি গুটািইয়া একেবারে উৎসাহদীপ্তমুখে দৃঢ়চিত্তে সহরের দিকে চলিয়াছে। শিরোমণি মহাশয়ের টোলের মেধাবী ছাত্রের দু’টিই চলিয়া যাওয়ায় সকলেই একটু ক্ষুন্নমনাঃ হইল। জ্যেষ্ঠ পুত্র নৃত্যকালীএকাকীই টোলে রহিলেন। তিনি ব্যাকরণ শেষ করিয়া ভট্টি, কুমার ও রঘুর কিয়দংশ পাঠ করিতেছিলেন,-নৃত্যকালীর পড়াশুনা বেশী হইত না, তিনি কিঞ্চিৎ দীর্ঘসূত্রী এবং শুচিবান্তিকগ্ৰস্ত ছিলেন বলিয়া প্ৰায় সৰ্ব্বদাই জলে গোবরে লুটাপুটি করিতেন, তীক্ষার পাঠ টিমে তেতালায় চলিতেছিল,--আর একটা প্ৰধান কাৰ্য্য তঁহার এই ছিল যে তিনি সর্বদাই গৃহদেবতার সেবাপূজার দিকে শ্রদ্ধাযুক্ত দৃষ্টিরক্ষা করিতেন, ফুল বেলপাতা দূৰ্ব তুলসী নিজহাতে চয়ন করিতেন, এবং সে গুলি পরিষ্কার করিয়া গুছাইয়া লইতে পাঠের মূল্যবান সময়টা কাটাইয়া দিতেন, তাহার এই প্ৰকার ব্যবহারে সকলেই ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে একমত নিরাশ হইয়াছিলেন, কিন্তু মাতা পিতার শ্রদ্ধা তাহাতে কিছুমাত্র কমিল না, নৃত্যকালীর আস্তিকতা দর্শনে পরলোকবিশ্বাসী দম্পতী বিশেষ প্রীত হইয়াছিলেন, তবে