পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার বান্ধব ─────ཟང───── একটা লোমহর্ষণ ব্যাপার ! শরৎ দেখিত চারিদিকে খালি স্বার্থ ও কপটতা সংসারের সকল সুখ শান্তির দ্বারে ঠেঙ্গ লইয়া দাড়াইয়া আছে। সে আরও দেখিত তাহার পরম সুহৃৎ পিতৃদেব সর্বদাই তাহার স্বামীয় বিষয়ের দিকে লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া আছেন। কখনো কখনো বা তামাদি খাতের বাণ্ডিল গুলি গোপনে নাড়িয়া চাড়িয়া দেখিতেছেন। রায়মহাশয় ঘরে না থাকিলে এখানকার জিনিষপত্র সেখানে রাখিয়া একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করিতেছেন,— অথচ সে সকল করিবার তাহার কোন অধিকার বা প্ৰয়োজন ছিলনা। এই জন্য রায়মহাশয় কখনো কখনো শরৎকে একটু তিরস্কারও করিয়াছেন। তা করুন। কিন্তু ইদানীং পুত্ৰবতী হইয়া শরৎ জীবনের ব্যর্থতার চিন্তা ত্যাগ করিতে পারিতেছে, সে তাহাব বৃদ্ধ স্বামীকেই তাঙ্গার সকল সুখের মূল মনে করিয়া নিজের মধ্যেই একটা আনন্দ ও তৃপ্তি অনুভব করিতে শিখিয়াছে । “শিখিবে না ? মাতৃত্বেই যে রমণীর চরম পরিনিষ্ঠা ! তাই শরৎ এখন নিজে সুখী হইয়া রায় মহাশয়কেও সুখী করিয়া তুলিয়াছে, রায় মহাশয় এখন আর শুষ্ক সংসারী নহেন। এখন তিনি স্ত্রী পুত্ৰ পরিবেষ্টিত ধনীগৃহস্থ। শরৎ তাঙ্গার সোনার কাঠি ছোয়াইয়া রায়মহাশয়ের লোেত লক্কর গুলিকেও সোনা করিয়া তুলিয়াছে। তাই এই বয়সের ও রুচির সম্পূর্ণ বিভিন্নতা সত্ত্বেও দম্পতীর মধ্যে একটা তৃপ্তিদায়ক নূতন সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়া গিয়াছে। সেই স্বৰ্গীয় সম্বন্ধের মূলে—তুচ্ছ ইন্দ্ৰিয় লালসা বা ভোগ বিলাসের চিহ্ন মাত্ৰও নাই-সেখানে পবিত্ৰ ৯৬