পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার বান্ধব -────ཟང་ হইবে । দাদা চক্ষু রক্তবর্ণ করিলেন। তঁহার বন্ধুকে এমন করিয়া অপমান করিবার অধিকার শরতের নাই। আর মাতা মামুলী রাগিণী ধরিয়া চির অভ্যন্ত রোদনে লাগিয়া গেলেন, এমন সোনার সংসারটা তঁহার অবুঝ মেয়েটার দোষেই মাটি হইতে চলিল এবং তাহার মেয়েট যে ভিক্ষা করিয়াও ভাত পাইবেন সেই অপমান ও দুঃখ মা হইয়া তিনি কোন প্ৰাণে সহ্য করিবেন। শরৎ দেখিল ভারি বিপদ, ইহারা সকলেই মেয়ের জন্য আর নাতির জন্য ব্যস্ততা প্ৰকাশ করিতেছেন। কিন্তু মেয়ের যে সারসর্বস্ব অযত্নে আর অচিকিৎসায় শেষ হইতে চলিয়াছে ! হায় হায় শরৎ কি করিবে ? এই কয়দিন হইল সে অন্নপথ্য করিয়াছে এখনও দুই বেলা ভাত পাইতেছেন সন্ধ্যার সময় এখনও চোখ জ্বালা করিয়া একটু জর ভাব হয়, তবু স্বামীর নিতান্ত কষ্ট হইতেছে দেখিয়া স্বামীর সেবায় আত্মনিয়োগ করিতে প্ৰবৃত্ত হইল, ইহাতে একটা বিশেষ অসুবিধা এই হইল যে মাতা বা পিতা অন্য সময়ে জামাতাকে চোখ মেলিয়া না দেখিলেও শরৎকে স্বামীর ঘরে যাইতে দেখিলেই তাহারা দুই জনের একজন ধ্যা করিয়া সেই ঘরে প্রবেশ পূর্বক শরতের সেবা ও ততোধিক মিলনের দ্বারে চোখ রাঙ্গাইয়া যম দূতের মতই দাড়াইয়া থাকিতেন। শরৎ এ সম্বন্ধে মুখ ফুটিয়া কিছু বলিতে না পারিলেও বুক ফাটিয়া মরিবার পথে কেহ তাহাকে বাধা দিতে পারিল না, এবং সেই জন্যই তাহার রোগাক্ষীণ দেহ সহজেই আরও ভাঙ্গিয়া পড়িল ।