পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার বান্ধব রায়মহাশয় এখন আর শয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিতে পারেন না, বিছানায় গুইয়াই বাহ্যে প্রস্রাব করিয়া থাকেন, শরৎ মরিয়া মরিয়াও সে সকল কাৰ্য্য। অগত্যা লজ্জা ত্যাগ করিয়াই সম্পাদন করিয়া যাইতেছে। আষাঢ় মাস, আকাশ মণ্ডল নিবিড় মেঘমালায়। আচ্ছন্ন, সময় সময় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হইয়া যাইতেছে, খাল বিল ও পুকুরে বৃষ্টির জল জমিয়া প্ৰায় বর্ষার মতই দাড়াইয়াছে। সারা দিন এইরূপ মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও মাঝে মাঝে সামান্য একটু রৌদ্র এই অভিনয় চলিয়া আসিয়াছে, সন্ধ্যা হয় হয়, সুৰ্য্য সেদিনকার মত বিদায় লইতে যাইয়াও সারাদিনের ব্যর্থতার লজ্জায় যেন চুপি চুপিই সরিয়া পড়িলেন। বিদায়ের শেষ উপহার রক্তাভ হাসিরেখা টুকু বিলাইয়া যাইবারও যেন ভরসা পাইলেন না। ক্রমে গভীর নিশিথিনী সারা সংসার জুড়িয়া নিজের এলোকেশরাশি ছড়াইয়া দিয়া খল খল করিয়া হাসিতে লাগিল। সন্ধ্যার একটু পরেই দেখা গেল যে শরতের ছেলেটীরও ঠাণ্ড লাগিয়া জর আসিয়াছে। বিপদ কখনও একাকী আসেন, সেই দিন রায়মহাশয়েরও অবস্থা খারাপ হইয়া চলিয়াছে। রায়মহাশয় বার দুই বিছানাতেই বাহ্যে প্রস্রাব করিয়াছেন, শরৎ শিশুটীকে লইয়া একটু শুইয়াছিল, স্বামীর বিছানা বদলাইবার সুবিধা পায় নাই, নিজেরও জর আসিয়াছে, কাজেই সেই ঘরে যাটিয়া দেখিতেও পায় নাই, ঠিক এমন সময় দাদাবাবু ছোকরা হোমিওপ্যাথটাকে সঙ্গে লইয়া আসিয়া রোগীর ঘরের দরজা পৰ্যন্ত যাইয়াই থমকিয়া দাড়াইলেন। e bro