পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(उ5द्र । বুঝিতে পারিলেন যে তাঁহারই প্ররোচনায় বৃদ্ধ নিজের অনভিপ্রেত কাৰ্য্য নিজেরই কতকটা অজ্ঞাতে সম্পন্ন করিতে বাধ্য হইয়া আজি এই গুঢ় অনুতাপে তপ্ত হইতেছেন। এবং যোগ্য পুত্র দুটীিকে টোল ছাড়াইয়া স্কুলে নেওয়ার অপরাধে ইতঃপর শ্ৰীমন্তপুর যে টোল শূন্য হইয়া শ্ৰীহীন হইতে চলিল এই চিন্তা যেমন শিরোমণি মহাশয়কে বিধিতেছিল। তেমনি ধৰ্ম্মভীরু রামগোপাল বাবুকেও ভারি উদ্বিগ্নকরিয়া তুলিয়াছিল। রামগোপাল বাবু সেই হইতে নীরবে কি যেন চিন্তা করিতেন। এদিকে অলক্ষিতে শিরোমণি মহাশয়ের দিন ঘনাইয়া আসিতেছিল, হঠাৎ একদিন কলেরা রোগে শিরোমণি মহাশয় সজ্ঞানে স্বৰ্গলাভ করিলেন। মৃত্যুর পূর্বে রামগোপাল বাবুকে ডাকিয়া অনেক কথাবাৰ্ত্তা বলিলেন এবং একখানি উইল সম্পাদন করিয়া তাহা চিরবিশ্বাসী রামগোপাল বাবুর হাতে রাখিয়া গেলেন, জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ নৃত্যকালীকে বলিয়া গেলেন কৃষ্ণকালী যেন তাহার পিতামহের টোল রক্ষা করে। কৃষ্ণকালী তখন সবে মাত্র বার বছরের (མ་ག, ཕགི་རྩེ་ নৃত্যকালীর একমাত্র পুত্ৰ, দুটী মেয়ের বয়সও যথাক্রমে আট ও দশ বৎসর। গৃহিণী তখন গৃহদেবতার দুয়ারে লুটাইয়া সেই মুহুর্তেই মৃত্যু কামনা করিতেছিলেন। দেবতার দয়া হইল না, তিনি মরিতে পারিলেন না, সহরের চাকুরীজীবী পুত্ৰদ্ধয় গৃহে আসিয়া পৌঁছিবার পূর্বেই শিরোমণি মহাশয়ের প্ৰাণবিয়োগ হইয়া গিয়াছিল।