পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উকীল বাবু? তাহার কথা পরে বলিতেছি। জামাতার জুলুম () উঠিতেছে সেই সংবাদ একমাত্র আমার মেয়েই জানে। আর আমার ‘দ্বিতীয় পক্ষ’ ভয়ঙ্কর কি “দো জবরা” ভয়ঙ্কর এই নিয়া যদি কখনো তর্ক উঠে। তবে সেই তর্কে দ্বিতীয় পক্ষই যে পুরুষের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হইবে তাহাতে আমার সন্দেহ নাই। এবং যথার্থ বিচারে যে অবস্থাটা অন্যরূপ দাড়াইবে তাহাও সত্য। তবু অনেক সময়ে মনে হয় দ্বিতীয় পক্ষ যদি একটু কড়া হয় তবে দোজবরকে অনেকটা সামলাইয়া লইতে পারে। আমার বিবেচনায় দাম্পত্যরাজ্যে বৃদ্ধ বিশেষতঃ দোজবর নিজের বুদ্ধির দোষে যত বিপ্লব উপস্থিত করে। অভিভাবক অর্থাৎ দ্বিতীয় পক্ষ যদি তখন বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন না করে তবে সেই বিপ্লবের পরিণামফল সমস্ত পরিবারে ব্যাপ্ত হইয়া পরিবারটি ধ্বংস করিয়া। তবে ছাড়ে। ইহার প্রমাণ চক্ষুষ্মানের নিকট ঘরে ঘরে পরিদৃষ্ট হইবে। আমি মনে করি দোজবরকে কখন বিশ্বাস করিতে নাই। তাহার কারণ, ইহারা ভালবাসে, ভয় করে, ভক্তিও করে। ইহারা ভাবে বয়সের বৈষম্যে স্বামী স্ত্রীর মানসিক যথার্থ সংমিলন সেখানে গম্ভবপর নহে -সেখানে প্ৰথম প্ৰথমই দ্বিতীয় পক্ষকে নানাপ্রকার লোভ ভোগ ও কৃত্রিম আদর সোহাগ দ্বারা বশীভূত করিতে হইবে। আর সেই লোভের ভোগের আদর যত্নের এত ছড়া ছড়ি ঘটাইয়া তুলে যে— দ্বিতীয় পক্ষ তখন অনেকস্থলেই যথার্থ স্নেহ মামিতার স্নিগ্ধরসে সিক্ত না হইয়া তীব্র লালসার মদিরা পান করিয়া আত্মহারা হইতে বাধ্য ò(tR