পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ङ) ( ७ ) দেখিতে দেখিতে ছয়মাস কাটিয়া গেল, শিরোমণি মহাশয়ের ষান্মাসিক শ্ৰাদ্ধ সংক্ষেপে হইয়া গেল। অকনক লেখালেখি সত্ত্বেও জয়কালী ও রামকালী বাবু বাড়ীতে আসিতে পারিলেন না, সরকারী কাজের নাকি বড় ভিড় ছিল। রামগোপাল বাবু সদরে পীড়িত হইয়াছিলেন বলিয়া ইচ্ছা সত্ত্বেও আসিতে পারিলেন না, পুত্রদ্বয় শ্রাদ্ধের টাকা পাঠাইয়াছিলেন শুনিয়া গৃহিণীর চোখ বাহিয়া জল পড়িতে লাগিল, আর ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস বহিয়া-জীর্ণ বুকটা ভাঙ্গিয়া দিতেছিল। তিনি জ্যেষ্ঠ পুত্রকে ডাকিয়া বলিলেন, “কৰ্ত্তার শ্রাদ্ধে ও টাকা খরচ করবার দরকার নেই,” শুনিয়া হতবুদ্ধি নৃত্যকালী ভট্টচাষ মাতার মুখের দিকে তাকাইয়া দেখিলেন, বৃদ্ধার কোটির প্রবিষ্ট চক্ষু দুটি জ্বলিতেছে, কপালে ঘৰ্ম্ম বিন্দু ভ্ৰীযুগল কুঞ্চিত এবং নাসারন্ধু, ক্ষণে ক্ষণে ক্ষুরিত হইতেছে । মাতার ক্ৰোধ এবং ংকল্পের দৃঢ়তা সেই মুহুর্তেই বুঝিয়া লইয়া বড়কর্তা একেবারে মহাব্যাকুলকুইয়া পড়িলেন; পুত্রের মনোগত ভাব বুঝতে পারিস্কা জননী একটু হাসিয়া মালদানিতে হাত দিলেন এবং পাঁচখানি সিকামোহর বাহির করিয়া দিয়া কহিলেন, “এই দিয়ে—শুধু এরি মধ্যে কৰ্ত্তার শ্ৰাদ্ধ কৰ্ত্তে হবে। যাও” -জননী জপে বসিলেন, সে দেশে এমন কেহ ছিল না, যাহার অনুরোধে বৃদ্ধার সংকল্পের পরিবর্তন হইতে পারে। সুতরাং পুত্র খানিকক্ষণ গৃহু দেবতাব দিকে একদৃষ্টি তাকাইয়া থাকিয়া দরজার ধূলি কপালে মাখিয়া y 9