পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতার দান একসঙ্গে অনেক গুলি কথা বলিয়া হাঁপাইয়া উঠিলেন, জোরে শ্বাস বচিতে লাগিল, রামগোপাল বাবু একখানি পাখা লইয়া একটু দূরে থাকিয়া সংকোচের সহিত হাওয়া করিতে লাগিলেন । ‘গোপাল, আমার শ্বশুরের বংশের ধারা উণ্টে গেছে এই একপুরুষে! তুমি কায়েতের ছেলে যে জাত হারাওনি, আমার গর্ভে কৰ্ত্তার ঔরসে জন্মে, জয় আর রাম-দেখতে দেখতে সেই জাত “হারিয়ে ফেলেছে। গোপাল, শুনলে চোখ ফেটে রক্ত বেরুবে সেই ভাওয়া আমার শ্বশুরের ভিটার কুকুর বেড়ালটাকেও নাচিয়ে তুলছে ! এই বদহাওয়া থেকে নেত্যকে আর আমার কেষ্টদাকে বঁচিয়ে রাখতে হলে মিলিত সংসার ভেঙ্গে চুরেই তা করতে হবে। এঅর্থের প্রলোভনে বিলাস বিভ্ৰমের মোহ প্ৰমাদে এদের বঁচিয়ে রাখবার আর কোন পথ খুঁজে পেলেম না গোপাল, তাই জেনে শুনে এই কাজ করেছি,-জানি ওরা চিরকাল দরিদ্রই থেকে যাবে, তবু আমার শ্বশুরের বংশের ক্ষীণ ধারাটী শুধু ওদেরই শুষ্ক ধমনীর ভিতর দিয়ে ঝির ঝির করে বইবোঁ ! গোপাল, আমি কি অন্যায় করেছি ? বুদ্ধা আশান্বিত নেত্রে রাম গােপাল বাবুর মুখের দিকে তাকান্টলেন। রাম গোপাল বাবু তখন মাটিতে মাথা ঠেকাইয়াবৃদ্ধার মন্তব্যের অভিনন্দন করিতেছিলেন, আর চোখের জলে ভাসিতেছিলেন। “গোপাল ! তুমি ভাবতে পার হয়ত, আমি কিছু বাড়াবাড়ি করেছি, কিন্তু বাবা,-আমি কত বড় বাপের ঝি আর কত বড় স্বামীর স্ত্রী, ত’ত তুমি জান গোপাল !-ধান কুড়ের জমিদারের II