পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Cदऊद्भ • বৃদ্ধ পুনরপি, একটু হাসিয়া কহিলেন, “গোপাল, আমি জানি তাদের কোন অভাব নেই” ! কৃষ্ণকালী সহসা চোখের জল আর কণ্ঠের বাস্পাবিরোধ ঠেলিয়া ফেলিয়া বলিয়া উঠিল,-“আমাদেরই বা কিসের অভাব ঠাকু’মা ?’-তোমার আশীৰ্বাদ আর আই দেবতার দয়া থাকূলে অভাব কিসের ঠাকু’ম৷” ? কৃষ্ণকালী বিছানায় লুটাইয়া পিতামহীর পা দুখানি জড়াইয়া ধরিয়া কঁদিতে লাগিল। রামগোপাল বাবু স্তম্ভিত হইয়া গেলেন ! সন্ধ্যা হইল, ঠাকুরের আরতির আয়োজন করিবার জন্য বড়বে। উঠিয়া গেলেন, কৃষ্ণকালীও হাত মুখ ধুইয়া আসিবার জন্য উঠতেছিল বাধা দিয়া বৃদ্ধ আস্তে আস্তে কহিলেন। “বিন্ধ্যের বয়স হয়েছে, শ্রাদ্ধের পরে অপকৰ্ষ করে ওকে বিয়ে দিতে হবে মনে থাকে যেন, তিন মাসের মধ্যে, শুনলে গোপাল”?-- - রামলোপাল বাবু কহিলেন “আজ্ঞে হাঁ মা”!—নৃত্যকালী একটু খটকার মধ্যে পড়িলেন-এই অবস্থায় সপিণ্ডীকরণ অপকর্ষ হইতে পারে কি না,সম্প্রতি তাহার মীমাংসা হওয়া কঠিন, অথচ মাতৃদেবীর মৃত্যুকালীন আদেশ ! বৃদ্ধ পুত্রের চিন্তাবিষঃ মুখ দেখিয়া কহিলেন —“নেত্য ওতে ভাববার কিছু নেই, বৰ্দ্ধমান মেয়ের বিবাহের জন্য অপকৰ্ষ করবার ব্যবস্থা কৰ্ত্তাও দিতেন, বাবাও দিতেন, পিতামহীর . অপকৰ্ষ করে আমাদের জ্ঞাতি ঘরেই মেয়ের বিবাহ হয়েছিল।” *

  • এইরূপ ব্যবস্থা পূর্বে অনেকক্ষেত্রে প্রচলিত ছিল, বৰ্ত্তমানেও কোন “কোন’ স্থানে প্রচলিত আছে। কিন্তু উহা সর্ববাদি সম্মত নহোইতি লেখক।

Co