পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विद्भि वांश्कयः --سمص”حsے محصحس ( R ) রায়মহাশয় কৃপণ হইলেও, লোক মন্দ ছিলেন না । তিনি পরের অনিষ্ট চেষ্টা করিতেন না এবং নিজের গুমরে নিজের মধ্যেই সংকুচিত হইয়া থাকিতেন। পরের কথায় যাইতেনও না পরকে বিশ্বাসও করিতেন না। তবে পুরোহিত ঠাকুরকে একটু খাতির করিতেন, এবং তঁহার কথা শুনিতেন । এতদিন গৃহিণী ছিলেন, রায় মহাশয় তঁহাকে জীবনের একজন অংশীদার মাত্ৰ মনে করিতেন ; এবং গৃহিণীর অন্নবস্ত্ৰ যোগান, নিজের কৰ্ত্তব্য বলিয়া নিজের খোরাকীর কিয়দংশ গৃহিণীকে বাটিয়া দিতেন। গৃহিণী প্ৰথম বয়সে একটু ভাল খাওয়া পড়ার আপত্তি করিলেও মিত ব্যয়িতা সম্বন্ধে স্বামীর আচঞ্চল দৃঢ়তা দেখিয়া শেষটায় নিজেই চুপ করিয়া থাকিস্তুতন। তবে একটা সুবিধা এই ছিল যে, রায় মহাশয়ের খামারে কিছু ধান ছিল, গৃহিণী দুই জনের পেট ভরাইবার মত চাউল ভানিয়া নিজ হাতেই সিদ্ধ করিয়া লইতেন বলিয়া, অনাহারে ভদ্ৰাণে মারা যাইবার আশঙ্কা ছিল না ; কিন্তু তবু গৃহিণীর সিঁথির সিদূরের বরাত জোরে স্বামীর শেষ বয়সে মুখে পানগুয়া লইয়াই তিনি মহাযাত্ৰা করিলেন । রায় মহাশয় বিপত্নীক হইয়া একটা নিরীহ সেবা পরায়ণা সঙ্গিনীর অভাব সংসারের দিক দিয়া কতকটা অনুভব না করিয়াছিলেন এমন নহে। তবে তিনি নিতান্ত দমিবার লোক নহেন, সেই জন্যই বৃদ্ধ বয়সে গৃহাশূন্য ԳS