পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার বান্ধব সর্বদেহে একটা লাবণ্যের ঢেউ উঠতেছে বলিয়া মনে হইত, শরতের কাজকৰ্ম্ম করিবার শক্তি যথেষ্ট, স্বাস্থ্যও প্রচুর। শরতের বয়সের কথা লইয়া পাড়া প্ৰতিবেশীদিগের মধ্যেও যখন ‘কথা’ উঠিবার ংবাদ গৃহিণীর কাণে পৌছিল-তখন গৃহিণী যথার্থই আহার নিদ্রা ত্যাগ করিলেন। ত্ৰিলোচন ঠাকুর বহু স্থানে চেষ্টা করিয়াও একটী পাত্রের সংস্থান করিতে না পারিয়া একেবারে দমিয়া পড়িলেন, যাহার সঙ্গে দেখা হয় তাহাকেই পাত্ৰ যুটাইয়া দেওবার জন্য অনুরোধ করিতে আরম্ভ করিলেন,-সে যে কি মিনতি,-কি নিৰ্ব্বন্ধ তাহা ভুক্তভোগী ছাড়া কেহ বুঝিতে পরিবেন। কিনা জানিনা;- এমন যে পেটুক ফলারে ত্ৰিলোচন, তাহারও কন্যাদায়ের চাপে আহারে অরুচি জন্মিয় গেল। ভগবানের লীলাই বল, আর নিয়তির চক্ৰই বল টাকার কুমীর রায়মহাশয় যেদিন পত্নীহারা হইয়া ংসার সমুদ্রে এক ভাসিয়া পড়িলেন আর তাহার স্কুল পুরোহিত নিম্ন ঠাকুর সেই সংবাদটা ঘোষেদের বাড়ী ফলারের মাঝখানে উচ্চ কণ্ঠে প্রচার করিয়া ফেলিলেন তখন অনেক গুলি বয়স্ক কন্যার ভারগ্ৰস্ত পিতৃশ্রেণী জীবের লোলুপ কৰ্ণ ও উৎসুক চক্ষু নিম্ন ঠাকুরের দিকে সজাগ হইয়া পড়িয়াছিল 1 ধুৱন্ধর ত্ৰিলোচন ঠাকুরই কিন্তু আহারান্তে তঁহাকে সর্বপ্রথম নমস্কার জানাইয়া একটু আড়ালে লইয়া নিয়া পৈতা গাছটীি দিয়া বেমালুম হাত দুখানি জড়াইয়া একেবারে বাস্প গদ গদ স্বরে নিজের অনুঢ়া কন্যা শরতের বিবাহ রায় মহাশয়ের সঙ্গেই ঘটাইয়া দিবার প্রস্তাব অনুরোধ ও নির্বন্ধ by