পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্যদেব। ভালব্লাসিত, তাহারা যদি এই ব্যাপারে ক্রুদ্ধ হুইত, তাহাদিগকে তিনি জিজ্ঞাসা করিতেন, “যে নিন্দাস্তুতির কৰ্ত্তা ও পাত্ৰ উভয়কেই এক বলিয়া জানে, তাহার নিকট ইহাতে কি আসিয়া যায় ?” আবার ঐ সকল স্থলে তিনি, শ্ৰীীরামকৃষ্ণ কিরূপে তাঁহাকে কেহ গালি দিলে বা কটু কথা বলিলে তাহা গ্রাহের মধ্যেই আনিতেন না, তৎসম্বন্ধে কোন এক গল্প বলিতেন । ভাল মন্দ সকল বস্তুই, সকল ‘দ্বন্দ্ব’ই “আদরিণী । শুষ্ঠামা মায়ের” নিকট হইতে আসিয়া থাকে । কয়েক বৎসর ধরিয়া তাঁহার সহিত ঘনিষ্ঠভাবে মিশিবার সৌভাগ্য আমার ঘটিয়াছিল, এবং একটী দিনের জন্যও আমি তাহার চরিত্রে এতটুকু দাগ দেখিতে পাই নাই । মানবের ক্ষুদ্র দুর্বলতাগুলি তঁহাতে স্থান পাইত না ; আর যদি বিবেকানন্দের কোন দোষ থাকিত, তবে উহ! নিশ্চয়ই উদার ভাবের দোষ হইত। এত বড় হইয়াও তিনি বালকের মত সরল ছিলেন ; ধনী ও সন্ত্রান্ত লোকদিগের সহিত যেমন, দরিদ্র ও পতিত লোকদিগের সহিতও তিনি ঠিক তেমনই ভাবে প্ৰাণ খুলিয়া মিশিতে পারিতেন। ডিট্রয়েটে অবস্থানকালে তিনি মিশিগ্যানের ভূতপূৰ্ব্ব শাসনকৰ্ত্তীর “ বিধবা পত্নী মিসেস জন, জে, ব্যাগুলির আতিথ্য গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । ইহার ন্যায় উচ্চশিক্ষিতা রমণী, অতি বিরল, ইহার ধৰ্ম্মভাবও অসাধারণ ছিল । ইনি আমাকে বলিয়াছেন যে, স্বামিজী যতদিন ( প্ৰায় একমাস কাল) তাহার গৃহে অতিথি ছিলেন, তন্মধ্যে আঁহার কথায় ও কাৰ্য্যে ১ একক্ষেণের জন্যও অতি উচ্চাদরের ভাব ব্যতীত অন্য কিছু প্ৰকাশ স্পাইত না, এবং তাঁহার অবস্থানে গৃহ যেন “অবিরত মঙ্গলপ্রবাহে পূর্ণ”