পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । হবে । সংসারচক্র চলবেই—আমাদের তাকে সাহায্য করতে হবে, তাকে বাধা দিলে চলবে না । নানাবিধ ধৰ্ম্মভাবরূপ তরঙ্গ উঠছে পড়ছে, আর সেই সকল তরঙ্গের শীর্ষদেশে সেই যুগের অবতার বিরাজ করছেন। রামকৃষ্ণ বর্তমান যুগের উপযোগী ধৰ্ম্ম শিক্ষা দিতে এসেছিলেন - তার ধৰ্ম্মে কিছু ভাঙ্গাচোরা নেই, তার ধৰ্ম্ম হচ্ছে গড়া । তাঁকে নূতন করে প্ৰকৃতির কাছে গিয়ে সত্য জানিবার চেষ্টা করতে হয়েছিল, ফলে তিনি বৈজ্ঞানিক ধৰ্ম্ম লাভ করেছিলেন। সে ধৰ্ম্ম কাউকে কিছু মেনে নিতে বলে না, নিজে পরখ করে নিতে বলে । “আমি সত্য দর্শন করছি, তুমিও ইচ্ছা করলে দেখতে পাের।”-আমি যে সাধন অবলম্বন করেছি, তুমিও সেই সাধন কর, তৃ হলে তুমিও আমার মত সত্য দর্শন করবে । ঈশ্বর সকলের কাছেই আসবেন-সেই সমত্বভাব সকলেরই আয়ত্তের তর রয়েছে । শ্ৰীীরামকৃষ্ণ যা উপদেশ দিয়ে গেছেন, সেগুলি হিন্দুধৰ্ম্মের সারস্বরূপ, র্তার নিজের সৃষ্ট কোন নূতন বস্তু নয় । আর তিনি সেগুলি তার নিজস্ব বলে কখন দাবীও করেন নি ; তিনি নাম যশোর জন্য কিছুমাত্র আকাঙ্ক্ষা করতেন না । তাঁর বয়স যখন প্ৰায় চল্লিশ, সেই সময় তিনি প্রচার করতে আরম্ভ করেন । কিন্তু তিনি ঐ প্রচারের জন্য কখন বাইবে কোথাও যান নি । যারা তার কাছে এসে তাঁর উপদেশ গ্ৰহণ করবে, তাদের জন্য তিনি অপেক্ষা করেছিলেন। হিন্দুসমাজের প্রথানুযায়ী, তাঁর পিতামাতা তার যৌবনের প্রারম্ভে পাচ বছরের একটী ছোট মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিবাহ দিয়েছিলেন । বালিকা এক সুদূর পল্লীতে তাঁর নিজ পরিবারের মধ্যে বাস করতে লাগুলেনু - তার যুবা পতি যে কি কঠোর সাধনার ভিতর দিয়ে ঈশ্বরের পথে অগ্রসর SV