পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । সমুদ্র যখন স্থির থাকে, তখন তাকে বলা যায় ব্ৰহ্ম, আর সেই সমুদ্রে যখন তরঙ্গ ওঠে, তখন তাকেই আমরা শক্তি বা মা বলি। সেই শক্তি বা মহামায়াই দেশকালনিমিত্তস্বরূপ । সেই ব্ৰহ্মই মা । তাঁর দুই রূপএকটী সবিশেষ বা সগুণ, এবং অপরটি নির্বিবশেষ বা নিগুণ । প্ৰথমোক্ত রূপে তিনি ঈশ্বর, জীব ও জগৎ, দ্বিতীয় রূপে তিনি অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় । সেই নিরুপাধিক সত্তা থেকেই ঈশ্বর, জীব ও জগৎ এই ত্ৰিত্বভাব এসেছে। সমস্ত সত্তা—যা কিছু আমরা জানতে পারি, সবই এই ত্ৰিকোণাত্মক ; এইটাই বিশিষ্টাদ্বৈত ভাব । সেই জগদম্বার এক কণা, এক বিন্দু হচ্ছেন কৃষ্ণ, আর এক কণা বুদ্ধ, আর এক কণা খ্ৰীষ্ট । আমাদের পার্থিব জননীতে সেই জগন্মাতার যে এক কণা প্ৰকাশ রয়েছে তারই উপাসনাতে মহন্তু লাভ হয় । যদি পরম জ্ঞান ও আনন্দ চাও, তবে সেই জগজ্জননীর উপাসনা কর । ৩রা জুলাই, বুধবার। মোটামুটি বলতে গেলে বলা যায়, ভয়েতেই মানুষের ধৰ্ম্মের আরম্ভ । “ঈশ্বরভীতিই জ্ঞানের আরম্ভ।” কিন্তু পরে তা থেকে উচ্চতর ভাব এই আসে যে, “পূর্ণ প্রেমের উদয়ে ভয় দূরে যায়।” যতক্ষণ পৰ্যন্ত না আমরা জ্ঞানলাভ করছি, যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত না আমঞ্চ ঈশ্বর কি বস্তু জানতে পারছি, ততক্ষণ পৰ্য্যন্ত কিছু না কিছু ভয় থাকুবেই। ধীশুখ্ৰীষ্ট মানুষ ছিলেন, সুতরাং তিনি জগতে অপবিত্ৰত দেখতে পেতেন-আর তার খুব নিন্দাও করে গেছেন। কিন্তু ঈশ্বর অনন্তগুণে শ্রেষ্ঠ, তিনি দরগােন কিছু অন্যায় দেখতে পান না, সুতরাং তার ক্রোধেরও কোন কারণ নেই। অন্যায়ের প্রতিবাদ বা নিন্দাবাদ কখনও সর্বোচ্চ ভাব tr