পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-মনে হোল গলায়মান ব্যক্তি ধেনু হাতের ইন্দিতে তাকে কিন্তু বয়ে-কি সাবধান কল্পতে গেল। ** * * লোকটি অদৃশ্য হবার কিছু পরেই যতীনের মনে হোল কী এ, ভীষণ টল্প : "", তাকে নিচের দিকে যেন টেনে নিয়ে যাচ্চে। অতি ভীষণ মেটানের বেগ তিমিরপ্রসায়ক যেন কোন বিশাল চৌম্বক শক্তি জগৎব্ৰহ্মাণ্ড চূৰ্ণবিচূর্ণ করে তায় । জ্বাল বিস্তার করেচে-যতীনের সামনে, পাশে, দূরে, চারিদিকে ঝড়ের মত কোথা থেকে সেই ভীষণ শক্তির লীলা এক মুহূর্ডে ব্যাপ্ত হয়ে গেল। দ্বিতীন যেন ভীম আবর্ভে তলাতল পাতালের অভিমুখে কোথায় চলেচে-তার জ্ঞান। লোপ পেয়ে আসচে-কেবল এইটুকু সে লক্ষ্য করলে শুধু দে নয়, ঝড়ের মুখে । তার মত বহু জীবাত্মা কুটাের মত কোথায় চলেচে বিষম ঘূৰ্ণৗপাকের টানে!" " তারপর একটা আৰ্ত্ত চীৎকার স্বর, এক কি বহু সম্মিলিত কণ্ঠের আর্জনা, যতীন গুণ - ঠিক বুঝতে পারচে না, তার সংজ্ঞা নেই, অতিপ্রাকৃত কী এক বিষম শক্রিয় ? অমােঘ আকর্ষণ তাকে খেলার পুতুলে পরিণত করেছে... . శ్లే ভয়ানক অন্ধকার তার চারিদিকে, এই কি তলাতল পাতাল? পৃথিবী কোথায় বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড, চন্দ্ৰ সূৰ্য কোথায়ু, পুষ্প কোথায় ? করুণদেবী কোথায়, হতভাগিনী : আশা কোথায়-সব লুপ্ত, একেবারে! কোন রসাতলে সে চলেচে কিলের । छ्ड्या आकर्षं !· অনেকক্ষণ-, অনেক যুগ যেন কেটে গিয়েচে-জ্ঞান নেই। যতীনের। অন্ধকাৰ ? ছাড়া আর কোনদিকে কিছু নেই। বহুদিন সে কী এক গভীর ঘুমে অচেতন । হয়ে পড়ে ছিল। সব অন্ধকার-বিস্মৃতি--- পুষ্পের ডাকে তার চৈতন্য হােল। পুষ্প তাকে উইিকচে, ও যতীনন্দা, যতীনদী, 6दgिप्रा 4हमा } পুষ্প ও আর একৃজন তাকে প্রাণপণে ডাক দিচ্চে, ফের্ন কতদূর থেকে. : ধতীিন বলে উঠলো-আঁ্যা ! -- . . . . —শীগগির চলে এসো-ওঁ কৃষ্ণ, ওঁ কৃষ্ণ নাম উচ্চারণ করেী-ওঁ কৃষ্ণ, ওঁ ! কৃষ্ণ, ওঁ কৃষ্ণ- , ' পুষ্প, পুষ্প ভাস্কচে! যতীনের জ্ঞানং একটু একটু ফিরে এসেচে-এ কোন স্থান! ই কে যেন গুর হাত ধরলে এসে। পুষ্পের কণ্ঠস্বর ওর কানে গোল মাঝায়। "