পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A. অনেক দিন হয়ে গেল, এহার গিয়ে বোকে নিয়ে এসে ক্ষে ২৩াশ ! "জ্ঞকৰ্ম্ম । টাকার মাত্মা ছেড়ে দাও, বুড়ী সহজে দরবে না' । r:ه; r. পিছনে কেউ কেউ বলে-এই মােটর গভীর শব্দ ওঠে ঘাখো না! যতীনের - বীে টাকার পুটুলি নিয়ে মোটল থেকে নেমে বলবে-এই নাও পাঁচ হাজার টাকা। তোমার টাকা তুমি রাখে। কি করবে করো-আমি খালাস হই তো আৰ্গো! : এই ধরে পুঁটুলিটা। তা ছাড়া আরও কত রকমের কথা বলে-সে সব এখানে ঝক্ত। করবার নয় । . . . . . . . এই সমস্ত ব্যঙ্গ-অপমান যতীনকে বেমালুম হজম করে ফেলতে হয়। এখন সয়ে গিয়েচে আর লাগে না-মাঝে মাঝে কষ্ট হয় মানুষের নিষ্ঠুরতা, বৰ্ব্বৱৰ্তী । দেখে। একটা সহানুভূতির কথা কেউ বলে না, কেউ এতটুকু দরদ দুখায় স্না- ৷ কি মেয়ে, কি পুরুষ। সংসার যে কি ভয়ানক জায়গা, দুঃখে কষ্টে না পড়লে বােঝা যায় না। দুঃখীকে কেউ দয়া করে না, সবাই ঘূণা করে। : মানুষ হয়ে মানুষকে এত কষ্ট দিতে পারতো না। যদি একটু ভেবে శా কিন্তু অধিকাংশ মানুষের চিন্তার বালাই নেই তো! এসব ভেবে কষ্ট হয় বটে, কিন্তু এসব সে গায়ে মাখে না। গ্যাসওয়া হয়ে গিয়ের্চে মানুষের নিষ্ঠুরতা, মানুষের অপমান। এর পরেও সে লোকের বাড়ীতে ভাত চেয়ে খায় । কোনদিন লোকে দেয়, কোনদিন দেয় না-বলে, বাড়ীতে অসুখ, রাধবার লোক নেই-বড়ই লজ্জিত হােলায ভাই...ইত্যাদি। . যতীনের বাড়ীর পেছনে ধিড়কির বাইরে ছোট একটু বাগান #ಈಗ? メ একটা বড় পুতিলেবুর গাছ আছে। যেদিন কোথাও శిక్స్ప్రెగోমেলে, গাছের লেবু তুলে সে বিনোদপুরের হাটে বিক্ৰী করতেঁ নিয়ে যায়, আম কঁঠালের সময় গাছের আম কঁঠাল মাথায় করে হার্টে নিয়ে যায়। এতেও লোক নিন্দে করেশিক্ষিত লোক হয়ে ভদ্রসমাজের মুগ্ধ হাসাচ্ছে। বায়ুসাহেব ভরসারাম কুণ্ডু কেন তার বাড়ীর কাজকৰ্ম্মে ব্ৰাহ্মণদের নেমস্তন্ন করতে সাহস না করবে ? ? এক সময়ে বড় বই পড়তে ভালবাসতে সে। অনেক ভাল ভাল ঠুংরিজি বই ছিল, সংস্কৃত বই ছিল তার ঘরে-কতক নষ্ট হয়ে গিয়েছে, কতক সেই বিক্ৰী করে ফেলেচে অভাবে পড়ে। এইসব নির্জন রাত্রে বইগুলোর জন্যে সত্যি ঘনে दश्ले श्म } এইরকম নির্জন রাত্রে বহুদিন আগেকার আর একজনের কথা মনে পষ্ট্রে 8؟