পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ses দেবযান । যোগ ঘটাবেন যে আমার আত্মা ক্রমশ জেগে উঠে বুঝতে পারবে পৃথিবীতে সে কেন এসেচে ; ভোজ থেতে, নারী ও সুরা নিয়ে আমোদ করতে আসেনি। ভগবানের বিশ্বে এসবের ব্যবস্থা আছে-যে ভাল কাজ করতে চায়, তাকে সাহায্য দেওয়া হয়। তিনি যে বিরাট মুহাশক্তি, সেই শক্তিকে তুষ্ট করতে পারলে জীব পালকে প্ৰলয় করতে পারে, অসাধ্য সাধন করতে পারে, মহাশক্তির সদয় সাহায্য সে পায়। এ রহস্য কে বোঝে ? পৃথিবীতে সবাই অর্থ নিয়ে ব্যস্ত, সৰ্ব্বস্ত্ৰ অনুপ্রবিষ্ট এই করুণাময়ী মহাশক্তির রহস্যভেদ করতে ব্যস্ত ক'জন ? পুষ্প বল্পে-প্ৰভু, আপনি বলছিলেন। আপনার গ্রামে একটি মেয়ে ভগবানেক দেখা পায়-সে। কি রকম ? sk -সে উচ্চ অবস্থার মেয়ে। তার শেষ জন্ম হয়। পৃথিবীতে, সাতশো বছর পূর্কে। মানব-আবৰ্ত্ত কাটিয়েছে। স্বামী-ভাবে ভগবানকে চিন্তা করে। ভগবানের দেখা পায় সেইভাবে । আমি জানি ভগবানের এসব মায়িক রূপ। স্ট্রাক্স রূপের কি কোনো সীমা আছে ? ভগবানকে যে আন্তরিকভাবে ডাকে, তিনি তার কাছে যাবেনই । যে রূপে চায়, সে রূপেই যাবেন। এ একটা অমোঘ নিয়ম। যেমন চুম্বকের কাছে লোহা ছুটে যাবেই-তেমনি। ভগবান ধাবোনই ভক্তরূপ চুম্বকের কাছে। তাঁকে টেনে নেবে আকর্ষণ ক’রে। ভগবান লোহা ভক্ত চুম্বক। এ ওকে টানচে, ও একে টানচে । পৃথিবীর লোককে এ সকল কথা বিশ্বাস করানো কঠিন। বিশ্বাস করলে তো মানুষ আর মানুষ থাকে। न, स्रुक्षन्न श्रम् ।। { န္တိဒါ’’ ওরা সব মহলোকের সেই গ্রামটিতে ফিরে এল। তারপর তিনি ওদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন আবাস-বাটী দেখালেন জনপদের। পাহাড়ের গায়ে স্তরে স্তরে নানা রঙের ফুল, কোনো স্থানে কোনো অপার্থিব পশুর মূৰ্ত্তি, স্ফটিকে তৈরি। কোথাও বড় বড় বৃক্ষশ্রেণী, কোথাও সরোবর। দূরে দূরে এইসব বনবীথি ও উত্থানের মধ্যে মধ্যে অতি সুন্দর সুন্দর প্রাসাদ ও অট্টালিকা। শুভ্র স্ফটিকপ্রস্তুর ছাড়া অন্য কোনো উপাদান এই প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণে ব্যবহৃত হয়নি । গাছে গাছে কুসুমিত লতা মালার আকারে জড়িয়ে, আরতির পঞ্চপ্রদীপের শিখার মত কোনো কোনো স্বাক্তবর্ণ পুষ্প উৰ্দ্ধমুখী হয়ে ফুটে আছে। জনপদের কিছুদূরে নিভৃত অরণ্য, শিলাবাঁধানো পথের দুপাশে, অথচ সে সব অরণ্যে জুই, গোলাপ, কাঞ্চন ফুলের * মন্ত দেখতে আলোর ক্ষুত্র ক্ষুদ্র মণ্ডলীর আকারেন্থ সুগন্ধি বনকুসুম অজস্র স্কুটে আছে। পাহাড়ের কোলে গুহা ও প্রস্তরনিৰ্ম্মিত মন্দির-দেন বন্ধকালের বলে