পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তবে প্রেমের সঙ্গে ডাকা চাই। ভয় করে ডেকো না । ভয় করবার কিছু নেই তীকে। পুষ্প মেয়েমানুষ, এ সব কথায় ওর চোখ দিয়ে দরিদর ধারে জল গড়িয়ে পড়লো। ”যুক্ত করে নমস্কার করে বল্লে-আপনার আশীৰ্বাদ, ঠাকুর। নরকে এ কথা বল্পেন, নত্বক যে পুণ্যস্থান হ’য়ে ਚੋਲਸ এমন সময় পুষ্প দেখতে পেলে আশাকে। একটা কালো পাথরের অনুৰ্বর টিলার ওপর সে মলিনমুখে চুপ করে বসে আছে। রঘুনাথদাস বন্ধোন-তুমি যাও মা ! আমি এখানে থাকি । ---কিন্তু আমাকে যে ও দেখতে পাবে না ? —পাবে, যাও। কিন্তু একটা কথা মা-केि ? * -ওই কন্যাটির এখনও জ্ঞান হয়নি । পুষ্প বিস্মিত হয়ে বল্লে-সে কি প্ৰভু! ও তো দিব্যি জেগেই বসে আছে । -ও মেয়েটি ধূম্যান দক্ষিণমার্গের পথিক । ওর গতির পথ বেঁকে আছে। ধনুকের মত পৃথিবীর দিকে। তুমি দেখতে পাচ্চ না মা ! ও অল্পদিন হোল পৃথিবী থেকে এসেচে-তার ওপর স্বাভাবিক নিয়মে মৃত্যু হয়নি। আত্মহত্যা করেচে। । ওর মৃত্যু সম্বন্ধে ধারণাই হয়নি। যাও কাছে গিয়ে বুঝতে পারবে। পুষ্প কাছে যেতেই আশা বল্লে-তুমি আবার কে গো ? शैक्षाि, এটা কি আলিপুরের বাগান ? ' ' পুষ্প সন্সেহে বল্পে-কেন বৌদি ? এটা কি বলে মনে হচ্চে ? --বাড়ীওয়ালী মাসী বলেছিল আলিপুরের বাগান দেখাতে নিয়ে, যাবে। সেখানে একটি কি স্বাবুর সঙ্গে আমার আলাপ করিয়ে দেবে। আমি বলি, ছিছি কি ঘেন্না, বলি-নেত্যাদার সঙ্গে চলে এসেছিলাম। সে আলাদা কথা। অল্প বয়েসে বিধুরা হয়েছিলাম, কে খেতে পৰ্ব্বতে দেয় সংসারে-না। হ্যা, সত্যি কথা বােলবাে। মা জুড়ো হয়েচোন, উঁর ঘাড়ে আমার আর একটি বিধবা দিদি-আচ্ছা, মহেশের বুথতলা এখান থেকে কতদূর ? তুমি কে ? পুষ্প ওয়া পাশে গিয়ে বসলো। ওর দিকে সম্বেহু দৃষ্টিতে চেয়ে বল্লে-আমি তোমাকে চিনি। তুমি আমার বৌদিদি হও৷ ” . . -তা এখানে কি মানুষ নেই? এটা কোন জায়গা ? খিছে-ভেটী পেয়েছে