পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ দেবযান V. 5ल शास्षा ग्रांकू । ब्रांत्रिं कांडाऊ श्रद्ध এল-জ্যোৎস্ন! নী হয়ে ఇR51 s్ళ শোনো ময়ুর ভাস্কচে বনে। . . . সন্ন্যাসিনীকে পুনরায় বন্দনা করে সকলে সেই গভীর বন পরিত্যাগ করলেন। ফুটিরের আশেপাশে অনেক বন্য দেবকাঞ্চন ফুল ফুটে আছে স্নান জ্যোৎস্নালোকে । অদূরের শৈলচূড়াশ্লৈষরাত্রের হিমবাম্পে অস্পষ্ট দেখাচ্চে । বন্য কুকুটের রব রজনীর শেষ স্বাম ঘোষণা কয়চে { ক্ষেমাস আকাশপথে বন্ধেন-কি সন্ন্যাসী, যাবে তো রঘুনাথদাসের আশ্রমে ? - সন্ন্যাসী বাজি হওয়াতে ওরা চক্ষের নিমেষে বৈষ্ণবাচাৰ্য্যের আশ্রমের সামনে এসে পড়লো। ওরা সকলে রঘুনাথদাসের আসনের দিকে গেল-পুষ্প গোল গোপাল-বিগ্ৰহ দেখতে ও তার প্রাণের ব্যথা গোপালের পায়ে নিবেদন করতে। **ীল ক্ষটিকের অপূর্ব বিগ্রহের মুখে বেন করুণার হাসি লেগেই আছে। পুষ্প বাইরে এসে দাড়ালে, ঐ বিরাট অনন্ত বিশ্ব, আকাশের পটে কোটি কোটি নক্ষত্তরঞ্জি (বৈষ্ণবাচার্য্যের আশ্রমে এখন রন্ধনীর প্রথম যম -সেই যে সেদিন মহাপুরুষ উপনিষদের বাক্য উচ্চারণ করে শুনিয়েছিলেন—অস্ত ব্ৰহ্মাণ্ডস্য সমন্ততঃ স্থিতানি এতাদৃশ্বাস্থানস্থকোটিব্ৰহ্মাণ্ডানি সাবর্ণানি জলঙ্কি-এই ব্ৰহ্মাণ্ডের আশেপাশে আরও অনন্তকোটি ব্ৰহ্মাণ্ড জলচে-সব ব্ৰহ্মাণ্ডের যিনি অধীশ্বর, সেই বিরাট দেবতা কেন এখানে ক্ষুদ্র বিগ্রহে নিজেকে আবদ্ধ রেখেচেন কিসের টানে কে বলবে? পুষ্প প্ৰণাম করলে সািষ্টঙ্গে। সে বিরাটত্ব কতটুকু ধারণা করতে পারে, মেয়েমানুষ সে । সে অতি ক্ষুত্র নারী মাত্র। দয়া করে মধুবরূপে ধরা না দিলে সে ক্ষীরোদসাগরশায়ী মহাবিষ্ণুর কিংবা তার চেয়েও এককাটি সরেশ নিরাকার পরব্রহ্মের কি ধারণা করতে সমৰ্থ? মন্দিরে প্রণাম কত্বে উঠে ব্যাকুল কণ্ঠে প্রার্থনা করলে-হে ঠাকুর, আশা বৌদিদিকে কৃপা কর । এবার ধাতী নদী ও আশার জন্ম তোমার আশীৰ্বাদে যেন সার্থক হয়ে ওঠে। আর যেন আশার কুপথে মতি না হয় . ! হে ঠাকুর। ওয়া প্ৰৱন্ধ কৰ্ম্ম এবাৰু যেন ক্ষয় হয়। । ওকে দয়া ब्। মন্দিরের নিভৃত কুন্ধতলে অপূর্ব পুষ্পম্ববাস। যেন বহু জাতি, যুগ্মী, মালতী, হেনা, নাগকেশর একসঙ্গে প্রস্ফুটিত হয়েচে । সন্ন্যাসী ও ক্ষেমাদাস শ্বেতপ্রস্তরের চত্বরে বৃক্ষতলে বসে রঘুনাথদাসের সঙ্গে আলোচনা করছেন। । , : বৃক্ষুন্নাথাল বলচেন-আপনি আমার বিগ্রহটি দর্শন করে আম্বন। আপনার