পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেবলরাম অবাক হয়ে পুষ্পকে বল্লে-এটা কােন জায়গা দিদি ? : , ক্ষেমাদাস বল্পেন-তুমি চিনতে পারলে না ? “এটা বৃন্দাবন, গোপাল-মন্দির। পুষ্প বল্লে---আর ইনি বৈষ্ণব কবি ক্ষেমাসকেবলরাম থাতমত খেয়ে ক্ষেমাদাসের পায়ে সাষ্টাঙ্গ হয়ে প্ৰণাম করলে। তারপর কল্পপাদেবী ও প্রণয়দেবীর সামর্নে ওকে এনে ফেলতেই ও আরও আড়ষ্ট ও কুঁচুমাচু হয়ে গেল। করুণাদেবী রহস্ত করে বল্লেন-তোমার নাৎনীর দৌলতে স্বৰ্গ পাবে তুমি! কেবলরামের চােখ ধাঁধিয়ে গেল এই দুই দেবীর অপরূপ রূপের জ্যোতিতে। সে হাতজোড় করে বল্পে-স্বৰ্গ তো এখানে। আমার মত পাপী যে বৃন্দাবনে এসে আরতি দেখেচে, আপনাদের মত দেবী, এদের মত মহাপুরুষের দেখা পেয়েচে-আর তো কিছু বাকি নেই স্বর্গের । পুষ্প ধৰ্মক দিয়ে বল্লে-“এখন ছেড়ে দিলে আবার কুড়ালে-বিনােদপুরের দোকানে গিয়ে বসবে তো? আর মিথ্যে কথা বলবে? কেবলরাম জিম্ভ কেটে বল্লে—আর না। -छैिक ? 哆 -হঠাৎ ছাড়তে পারবো না। মিথ্যে কথা বলে কি হবে ? কোথায় যাই বলো কো সন্দেবেলােটা!

  • -কেন, এই গোপাল-মন্দিরে এসে আব্বতি দেখবে রোজ ! কবি ক্ষেমাদাস BE EEB uSDD DDDBBS DLK DD DBOBB S

-কেউ কিছু বলবে না ? --না। দেবমন্দিরে সবারই অধিকার। যখনই তোমার। দেবদর্শনে সম্পূহ জেগেচে বুঝতে হবে, তখনই তুমি উচ্চতর স্তরের জীব হয়ে যাবে। ইচ্ছামাত্রেই সিদ্ধি। চলে যমুনার ধারে দাড়িয়ে দেখো ওরা চীরঘাটের কাছে যমুনার তীরে এসে জ্যোঙ্গালোকে কিছুক্ষণ বঁসলো। , ওদের সঙ্গে সঙ্গে করুণাদেবী ও প্রণয়দেবীও এলেন। কেবলরাম সবুল লোক, * শুরু মনে কেমন একধরণের ভক্তির উদয় হােল। যমুনার দিকে চেয়ে ওরা দুচােখ : ধেয়ে জল পড়তে লাগলো। কঙ্কণাদেবীকে বয়ে-মা, আমার কি পুণ্য ছিল * পূৰ্ব্বজন্মের ? বৃন্দাবন, যমুনার তীয়, আপনাদের মত দেবীর দেখা পাওয়া-আজ ঠু : আমায় হোল কি তাই ভাষাটি । ” ή করুশদেবী বলেন-কেবলরামকে রেখে এলো পুষ্প, তারপর আমাদের গ