পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . ওর আকাশে বাতাসে বনে বনানীতে কেমন একটি শুদ্ধ, অপাপবুদ্ধ আনন্দ । এর বাতাসে নিঃশ্বাস-প্ৰশ্বাস যে নেবে, সেই যেন হয়ে উঠবে। আনন্দময় ব্ৰহ্মদেশী ভক্ত, ধীর ও নির্লোভী, ভূঞাহীন ও উদার। এর বানতলে জীবের অমরত্বের কথা লেখা আছে, লেখা আছে। এ বাণী যে এই বনভলে তাঁর আসন পাতা। উচ্চ জগৎ বটে। ৷ :في হঠাৎ ও দেখলে একটি বনপাদপের তলে শিলাসনে স্বয়ং কািঞ্ছক্ষেমাদাস বসে। . ও দেখে বড় খুন্সি হয়ে কাছে গেল। ক্ষেমাদাস স্কুঞ্জ-এসে এসো, যিনি আদি কবি, বিশ্বস্রষ্টা, তার বিষয়ে আমি কবিতা রচনা । : : শাক-আপনি এ গ্রহ জানেন ?

-ঙ্কেন জানবো না ? এরকম একটা নয়-দীর্ঘ এঙ্কলারি গ্রন্থ আছে বিশ্বের এ অংশে। আমি জানি।

• যখন এ গ্রন্থে রাত্রি। *:: * -কেন -এখানকার লোক উচ্চশ্রেণীর জীব্য। ওরা আমাদের দেখতে পাবে দিনের আলোয়। এখন ওরা সুপ্ত। বসে। ওই শিলাসনে। বেশ লাগে এখানে। লোকালয় এ গ্রহে খুব কম। বনে হিংস্ৰ জন্তু নেই। কেমন নীল জোৎস্না পড়েচে দেখেচ ? বড় ভালবাসি এ দেশ। --আপনি এখানে আসেন কেন ? * > -একটি তরুণ কবি আছে। এ গ্রহে, তাকে প্রেরণা দিই। ভগবস্তুক্ত। এই শিলাসনেই সে খানিক আগেও বসে ছিল। প্রতি রাত্রে নির্জনে এসে বসে। স্বাক্টর এ সৌন্দর্ঘ্যের স্তবগান রচনা করে। ওই তার উপাসনা। তুমি জানো আমারও ওই পথ। তাই তাঁর পাশে এসে দাড়াই। --তিনি দেখতে পান আপনাকে ? ܣ . . . . . ܊ --না। আমাকে বা তোমাকে দেখতে পাবে না! তোমার সঙ্গী যতীনকে দেখতে পেতো। সে কত বড় ছেলে ? - পুষ্প সলজ্জভাবে বন্ধে~ন’বছরের বালক। :-) ক্ষেমাদাস হেসে বল্লেন-আবার নব জন্মলীলা। বেশ লাগে আমার । আবার মাতৃক্রোড়ে যাপিত শৈশব। চমৎকার! ......” পুষ্প হেশে স্বন্ধে-সন্ন্যাসী এখানে উপস্থিত থাকলে আপনার কথা মেনে -জানি সে বলে বায় বায় দেহ ধারণ করা মুক্তির পথে বাধা । সে বলে