পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল। তার আদৌ ইচ্ছা নেই স্বর্গে যেতে। তার মন আর কােথাও যেতে ৷৷ পুষ্প বল্পে-যতীন দা, তুমি এত ভালবাসো আশাকে! ওর মত হতভাগিনী মেয়েও দেখিনি, ও তোমাকে বুঝলো না। সত্যি কষ্ট হয় ওয়া আগ্নে, কিন্তু তুমি এখান থেকে ওর কোনে সাহায্য করতে পারবে না। চলে যাই। : গতির বেগে পৃথিবীটা কােথায় মিলিয়ে গেল। শুধু মেঘ-সাদা যেখ চারিদিকে। ওদের পায়ের তলায় বহুদূরে কোথায়ু অভাগিনী আশালতা মেঝেড়ে আঁচল পেতে নিশ্চিন্তমনে ঘুঘুতে লাগলো। যতীন বাড়ী ফিরে এসে দেখলে একটি মহিলা তার জন্যে অপেক্ষা করছেন। প্ৰথমে দূর থেকে তার মনে হোল একে কোথায় সে দেখেচে-কিন্তু মহির্সটি যখন ছুটে এসে তাকে বুকের মুধ্যে জড়িয়ে ধরলেন, তখন তার চমক ভাঙলো { "; -বাবা মণ্ট, বাবা আমার! আমার মাণিক!” M -भा, टूर्भि ? যতীন মায়ের পায়ের ধূলো নিয়ে প্ৰণাম করলে ; মায়ের মুখের দিকে চেয়ে সে অবাঙ্ক হয়ে গেল। বাহান্ন বছর বয়সে তার মায়ের মৃত্যু হয়, কিন্তু এখন তাঁর মুখে বাৰ্থক্যের চিহ্নমাত্র নেই। তাই বোধহয় সে মাকে চিনতে পারেনি প্রথমটা । +్క* -वाद कांथश् भों ? . . . . . . যতীন কথা শেষ করে ঘরের দােরের দিকে চাইতেই বাবাকে দেখতে পেলে। · পঞ্চাশ বছর বয়সে যতীনের বাবা মায়া গিয়েছিলেন-এ চেহারা তত বয়সের নয়। এ দেশে প্রৌঢ় বা বৃন্ধ লোক নেই ? মৃতীন বাবাকে প্ৰণাম করতেই তিনি

  • এগিয়ে এসে ওকে আশীৰ্ব্বাদ করলেন। বলেন-তোমার এখনও আসবার বয়স হয়নি বাবা, আর কিছুদিন থাকলে বিষয়-সম্পত্তিগুলোর একটা গতি করতে পারতে। মাখন রায়ের জামটা কত সখা করে খরিদ করেছিলাম কাছান্ধীয় নীলেমে, সেটা-রাখতে পারলে না বাবা ? আর বেচলে নেচলে ওই শশধর

চকত্তি ছাড়া কি আর লোক পেলে না ? বর্তনের মা বন্ধেন-গ্ৰাহা বাছা এল পৃথিবী থেকে এত কষ্ট গেছে।