পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষ, পৃথিবী থেকে এসে। তোমার জন্তে ও এখানে কষ্ট করে থাকে, এর অনেক উঁচুতে ওর স্বায়ুগ্লা। আর কি ভালবাসায় প্রাণ ওষ্ঠ, লের্থ কৰে, ছেলেবেলায় নাগঞ্জ-কেওটাতে থাকতে তােকৈ ভাল লেগেছি, জীবনে সেই ওর ধ্যান জ্ঞান। তোকে আর ভুলতে পারলে না। তুই বৌমার ব্যাপারে । পৃথিবীতে কষ্ট পেতিস্, পুষ্পর এখানে কি কান্না! ওর মৃত আত্মার পৃথিবীতে যেতে কষ্ট হয়, কিন্তু তোমার জন্যে সদা সৰ্ব্বদা ও সেখানে যেতো। ওকে দেখতে । পাওয়া পুণ্যের কাজ । সম্মুখের এই সুন্দর আকাশ, ঐ কলম্বন ভাগীরথী, অদ্ভুত রঙের, বনানী, অপরিচিত বনলতার সর্বাঙ্গ ছেয়ে যে সব অপরিচিত বনপুষ্পরাজি, এই শান্ধি । এই রূপ-এও যেমন স্বপ্ন-পুষ্পের কথা, পুষ্পের ভালবাসাও তেমনি স্বপ্ন। তাইজীবনে সে শুধু নিজেকে ভুলিয়ে এসেচে সুখ পেয়েচে বলে, কিন্তু সত্যিই কোনো । জিনিস পায়নি কখনো-আজ মৃত্যুপারের দেশে এসে তার সারাজীবনের স্বপ্ন সার্থক হতে চলেচে একথা তার বিশ্বাস হয় না। কোনটা স্বপ্ন, কোনটা স্বাস্তব, তার কুভুলে-বিনােদপুরের বাড়ী, না। এই স্বপ্নলোক ?--আশালতা, না পুষ্প পূর্ণ" যতীনের মা বল্পেন-তারা ওকে বড় ভালবাসেন, মাঝে মাঝে অনেক গুণৱে । নিয়ে যান, তাদের রাজ্যে। আমি ওর মুখে সে সব গল্প শুনেচি, ইন্ধে হয়: এখুনি যাই, কিন্তু আমাদের অনেক বছর কেটে যাবে সে রাজ্যে পৌঁছুতে, তবুও পৌঁছুতে পারবাে না। সাধারণ মানুষ পৃথিবী থেকে স্বারা আসে তারা এত নিম্নস্তরের জীব যে, এই তুমি যে দেশে আছ, এই তাদের কাছে উচ্চ স্বর্গ। অন্যসব উচ্চস্তরের কথা বাদই দাও । . . একটা আশ্চৰ্য্য চাপা আলো আকাশের এক কোণ থেকে এসে পঙ্গুলো । w সমস্ত স্থানটা অল্পক্ষণের জন্যে নীল আলোয় আলো হয়ে উঠলো-আব্বারা তখড়ি: সেটা মিলিয়ে গেল। একটা ঠাণ্ডা, নীলোকুল আলোর সাির্মলাইষ্ট দেন। দু-সেকেণ্ডের জন্যে কে ঘুরিয়ে দিলে। ་་་་་་་་་་་་་་ যতীন বল্পে-ও কিসের আলো মা ? -আমি কিছু বলতে পারবো না বাবা। এ সব দেশের বাশ্মীত্ব জাৰি । অদ্ভুত, চন্দ্ৰ-সূৰ্য্যর দেশ এ নয়। আমি মূর্ণ মেয়েমানুষ, আমি ক্লিক্টর জানবো কিসে থেকে কি হয়। দেখি চোখে এই পৰ্যন্ত। কেন ঘটে, কিলোয় থেকে, স্বাটে সে সব ঘদি জানবো। তবে তো জ্ঞানী আত্মা হয়ে যাবো। পুষ্পও জানে দৃঢ় । পুলি মেয়ে মানুষ, ও জ্ঞালবাশ্ময় বস্তৃত্বরে এখানে এলেচে, জ্ঞানে নয়।' ' কথায় উত্তর সে দিতে গান্ধৰ নিয়ৰ স্বচ্ছ, এখন মার্সি ফন্ট, নকুঞ্জ