পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—আজি তােমার শ্রাস্কের দিন। তােমার ছেলে নিম্ন কােছ গলায় দিয়ে জ্ঞািন্ধ করছে!! পিণ্ডদানের সময় তােমায় গিয়ে হাত পেতে পিণ্ড নিতে হবে। :) – ছেলের কথা শুনে যতীন অন্যমনস্ক ও বিষন্ন হয়ে গেল। নিম্ন, আহা-দুধের বালক, তাকে কাছা গলায় দিয়ে শ্রাদ্ধ করতে হচ্চে!-সে যে বড় করুণ দৃশ্য ! . যতীন বল্পে-আমি যাবো না সেখানে । . . . . পুষ্প হেসে বল্লে-ঐ যে বলছিলাম, তুমি এ জগতের ব্যাপার কিছুই জানীে । नi 1 ८ 6छनभश्, दश्म কঢ়ি श्ाङ ছলছল চোখে তোমার নামে শিণ্ড ম্বোবে, :ি সে এমনি আকর্ষণ, তোমাকে টেনে নিয়ে যাবে। তোমার সাধা কি তুমি না। গিয়ে থাকো ? খুব ভালবেসে যে টানবে, তার টান এ জগতে এড়ানো যায় মা ! ' পৃথিবীর স্থল দেহেঁ স্কুল মন বাস করে—এখানে তা নয়। এখানে মন অস্টিনা" আপনি বুঝতে পারবে কোনটা সত্যিকার ভালবাসা, বুঝে সেখানে যাবে। ... আচ্ছা ? তুমি বসে, আমি একবার দেখে আসি ওদিকে কি হচ্চে । * পৃথিবীর হিসাবে মিনিট-দুই সময়ও তারপর চলে যায় নি, পুষ্প হঠাৎ কোথায় চলে গেল এবং ফিরে এসে বল্লে-ওখানে এখন সকাল সাতটা। শ্ৰদ্ধের আয়োজন । শুরু হয়েচে । নিম্ন কিন্তু এখনও ঘুম থেকে ওঠেনি। যতীনের আগ্ৰহ হোল। জিজ্ঞেস করে।--আশা কি কৱচে । সে ভয়ানক ব্যাকুল হয়েচে আশার খবর , জািনবার জন্যে। কত দিন খবৰ পায় নি। আশা কেঁদেছিল, চােখের জল । ফেলেছিল তার মৃত্যুসংবাদে ? জানুৱার জন্যে সে মরে যাচ্চে, কিন্তু লজ্জা করে পুষ্পকে এসব কথা বলতে । যতীন বুড়ো-শিবতলার ঘাটের রানায় চুপ করে বসে রইল। সামনে? কুলু-স্কুলুবাহিনী গঙ্গা, নীল আকাশের স্কলা দিয়ে একদল পার্থী উড়ে এপার থেকে ওপারে, * যাচ্চে। ঘাটের ওপরে বুদ্ধ বটের শাখার নিবিড় আশ্রয়ে একটা অজানা গান্ধক- , পাখী অতি মধুর স্বরে ডাক্‌চে। যতীনের ঘন আজি অত্যন্ত বিষ্ণ1¥ আশা কেঁদেছিল ? আহ্বাকে সে বড় নিঃসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে এসেচে-স্বামীৰ । কৰ্ত্তব্য স্বীপুত্রকে সুখে রাখা, তার অভাবে তারা কষ্ট না পায় তার ব্যবস্থা কয়? ', মেৰু অকৰ্ম্মণ্য স্বামী ; নিজের কর্তব্য পালন করার শক্তি তার ছিল না। স্বশাঙ্কে: সে সুখী করতে পারেনি একদিনও }, |, }