পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: নিকটেই একটা বেগুনী রঙের শৈলশৃঙ্গ-বস্তু লতাপাতায় আঁড়ালে শ্লষণী শিলাখণ্ডে যতীনকে সে শোওয়ালে। - সংজ্ঞা হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্তনেস্ক, গতি বন্ধ হয়ে গিয়েচে.নিকটত্ব ঝরণা থেকে জল এনে শুর মুখে দিয়ে পুগে আঁচল দিয়ে ওকে বাতাস করতে লাগলো। পরে নিজের দেহের চৌম্বক শক্তি, আঙুল দিয়ে দুয়ে ওর দেহে সঞ্চালিত করতে লাগলো। এমন সময়ে পুষ্পের দৃষ্টি হঠাৎ আকৃষ্ট হোল শুই উচ্চ শিখরটার প্রাস্তুদেশে । সেখানে পরম সুন্দর এক তরুণ দেবতা বহুদূরে মহাশূন্যে দৃষ্টি নিবন্ধ করে বঙ্গে । আছেন আনমনে। কোনো দিকে তার খেয়াল নেই, কি যেন ভাবচোন। তাঁর । অঙ্গের নীলাভ জোতি দেখে বহুদিনের অভিজ্ঞতার ফলে পুষ্প বুঝলে এ মিষ্টি উচ্চ শ্রেণীর আত্মা, দেবতা গোত্রে চলে গিয়েচেন-মানুষের কোনো পৰ্য্যায়ে ইনি এখন আর পড়েন না।-- . . . . পুষ্প জানতো এ জগতে যে যত পবিত্র, উচ্চ, সে দেখতে তত রূপবান, তষ্ঠা তরুণ । তারুণ্য এখানে নির্ভর করে না জন্মের তারিখের দূরত্ব বা নিকটত্বের ওপরে। এখানে দেহের নবীনতা ও সৌন্দর্ঘ্য একমাত্র নির্ভর করে আধ্যাত্মিক প্রগতির ওপরে। এর রূপ ও নবীনতা পৃথিবীর হিসেবে ষোলো সস্তর বছরের ‘অতি রূপবান কিশোর বালকের মত-অত্যন্ত উচ্চ স্তরের দেবতা ছিন্ন এ বুকম হয় না। “7. . . . . . " ܨܝ ؟ দেবতার ধ্যানভঙ্গ করতে পুষ্পের সাহস হোল না। সে এত উঁচু স্নাত্মা কখনও দেখেনি। কি করবে ভাবচে, এমন সময় দেবতায় অল্পমন্বন্ধ চক্ষু অল্পক্ষণের জন্যে ওদের দিকে পড়লো। পরীক্ষণেই তিনি অতীব জ্যোতিষ্মান দুটি চােখ দিয়ে ভাল করে চেয়ে দেখলেন। একটু বিস্ময় স্বন্ধে খুঞ্জেন, কে “তোমাৱা ? * পুষ্প প্ৰণাম করে বল্পে-সবই তো বুঝচেন, দেব! : এইবার যেন দেবতার অন্যমনস্ক একাগ্ৰতা কিছু ভগ্ন হােল-বৰ্তমান সম্বন্ধে তিনি সচেতন হয়ে উঠলেন। বল্পেনা-কি বলে তো? আমার মোগা নেই এ স্তরের সঙ্গে ; বুঝতে পারবো না। : -- পুষ্প নিজেদের পরিচয় দিয়ে তার গন্তব্যস্থানের কথা ও যতীনের অবস্থা সৰ “ আত্মা বন্ধোন-ওকে যেখানে এনে ফেলিক, এখানেও তো "