পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• পূৰ্ণ ঘােড় নেড়ে বল্পে—এখন শুক্লপক্ষের জ্যোৎস্নাৱান্ত্রি পৃথিবীতে। ‘খরা, আলোর ঢেউ আমাদের দেহ ধারণ করে দেখা দেওয়ার পক্ষে বড় যায়। কৃষ্ণপক্ষের রাত্ৰিতে অনেক সহজ হবে। ক'টা দিন সবুদ্ধ করো’না !” তারপর একদিন ওরা কৃষ্ণাসপ্তমী তিথিতেঁ দুজনে পৃথিবীতে নেমে গেল। नङ्न পৃথিবী থেকে গিয়েচে, সে স্পষ্টই সব দেখতে লুগলো, কিন্তু পুষ্প । অনেক দিন উচ্চস্তরে কাটানোর ফলে ওর চক্ষে সব ঝাপসা, অস্পষ্ট কুয়ালার মস্ত ঠেকচে । পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তার কষ্ট হতে লাগলো। ” ওরা বেশি রাত্রে আসে নি, কারণ আশা তখন ঘুমিয়ে পড়বে, ওদের দেখবে কি করে ? ? পুষ্প বল্পে-খুব ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করে । খুব জোর করে ভাবে যে আমি আশাকে দেখা দেবো, দেবো, দেবো। তুমি বেশিদিন পৃথিবী থেকে যাঙলি, তোমার দেহ স্কুলচোখে দেখা যাবে তা হোলে । -- পৃথিবীর হিসেবে দুঘণ্টা প্ৰাণপণে চেষ্টা করেও যতীন নিজের দেহ কিছুতেই আশার চোখে দৃশ্যমান করতে পারলে না। আশা রান্নাঘরে যাচ্চে, আলঙ্কে, ছেলেদের খাইয়ে আঁচিয়ে দিলে, ঘরে গিয়ে বাবার জন্যে পান সাজলে, গোন্ধী ঘরে এক গিয়ে ছেলেমেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে, এল। যতীন সব সময় ওর । পাশে পাশে সামনে, রোয়াকে, ঘরে দােতলায় উঠবার সিঁড়িতে দাড়িয়ে থেকেও ৷ কিছুতেই কিছু করতে পারলে না। কতবার ডাকলে-আশা, ও আশা, এই ৰো, আমি, ও আশা-আশা ? আমি এসেটি তোমার সঙ্গে দেখা করতে। : ; আশা ওকে টেরও পেলে না। এমন কি মনেও কিছু অনুভব করলে না। পুষ্প বলে, আচ্ছা, এখন থাক। ওর মন এখন চঞ্চল অবস্থায় রয়েচে । যখন বিছানায় এসে শোবে, প্রথম তন্দ্ৰা আসবে, তখন মন হবে শান্ত, স্থির, একাগ্ৰা. ৷ সেই সময়ে সামনে দাড়িও } w যতীন বল্পে-উহু, সে হবে না। ওর হারিকেন লণ্ঠন ঘরে সারারাত জালিয়ে ঘূমুনো অভ্যোস। সে আলোতে তো কোনো কাজই হবে না! -আচ্ছা সে হবে এখন। . তুমি সেজন্যে ব্যস্ত হয়ে না। আমি চেষ্টা করবো এখন । - . . . . 5: ততক্ষণ যতীন পুষ্পকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ীর বাইরে গেল। এই ऊद শ্বশুরবাড়ীয় দেশ। প্রথমে সে যখন এখানে আসে তখন ওই মুম্বারের স্বাক্ষীৰ । চণ্ডীমণ্ডপে আরও গাড়ার পাঁচজন মৃত্যুম্ন জামাইয়ের সঙ্গে পাশা বঁর ভাল খেলে । কত দুপুর, সন্ধ্যা কাটিয়েছে ! ওই সেই দৃদ্ধ ভড়ের পুকুর, যেখানে মুস্তু বড় কইখািন্থ :