পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্কুড়েশিবক্তলায় ঘাটে অশ্বখন্তলায় যতীন অস্যমনস্ক হয়ে ঘসে ছিল। পুষ্প মাঝে মাঝে কোথায় যায়, আজও বেরিয়েছে। তার নানা কাজ, কোথায় কখন ঘোরে। পুষ্পকে যতীন খানিকটা বােঝে, খানিকটা বোঝে না। পুষ্পের ভালবাসায় সেবায়ত্বে তার বহুদিনের বুভূক্ষু প্ৰাণ তৃপ্ত হয়েচে ঝািট কিন্তু সন্দিনী হিসেবে যতীনের মনে হয় পুষ্প অনেক অনেক উঁচু। সে গুণেৰে ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে, এমন কি কিছু কিছু ভয়ও করে। তার সঙ্গে কিন্তু মন খুলে কথা বলা যায় না, বলতে চাইলেও মুখে অনেকটা আটকে যায়। এমন সুখ, শান্তি, আনন্দের মধ্যেও যতীন নিজেকে থানিকটা একা মনে না করে। পারে না ! আশা, আজ যদি আশাএই সব সুন্দর দিনে, সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে বসে আশার কথাই মনে হয়। আরও মনে হয় সে বড় হতভাগিনী, তার এত বড় ভালবাসা আশা বােঝেনি, আশা যদি বুঝতে, তার মূল্য দিত, হতভাগিনী নিজেই কত তৃপ্তি (ዥKö} | , , , ; তার ইচ্ছা হয় যখন তখন আশার কাছে যায়। কিন্তু পুষ্প তাকে যেতে দেয়। না। এর কারণ যতীন জানতো না। আশাস্ত্ৰ, জীবনের অনেক ব্যাপার গুপ স্বঃ জানে, যতীন তা জানে না। পাছে সে সব দেখলে যতীনের মানসিক যন্ত্রণা বেড়ে যায়, সেজন্য পুষ্প প্ৰাণপলে সে সব জিনিস ওর দৃষ্টি থেকে লুকিয়ে রাখতে চায়। যার কোনো প্রতিকার করবার ক্ষমতা নেই, জ্ঞা, ওকে জানতে দিয়ে কোনো লাভ নেই। } যতীন জানতো আশা খেয়ালের বশে অভিমান করে বাগের ঝড় গিয়ে DBD BEBS BB DBDB DBDB BDB BED DB SDDD DDDS লেও অভিমানপ্ৰস্তৃত। আশার চরিত্রের আসল দিক পুষ্প কত কৌশলে ঢেকে রেখেছে। যতীনের কাছে তা একমাত্র জানতেন যতীনের মা। পাছে গুর চোখেও সে সব ধরা পড়ে যায়, এই ভয়ে নিজে সঙ্গে না নিয়ে যতীনকে একা আশার কাছে ক্ষেন্তে দিত না। যতীনের এক যাবার প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও একা পৃথিবীতে যেতে স, তেমন সাহস পায় না-একদিন যাবার চেষ্টা করে খানিকটা গিয়েছিলণ্ড, হঠাৎ মধ্যপথে কে যেন ওকে প্লেক কাঠের বাক্সের আকারের ঘর তৈরী