পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাহাড়ের মাথায় ছােট ছােট গ্ৰন্থ। একটা ফাঁকা স্বায়গায় কের হীরক গাছের তল্লায় ওয়া রসলাে। নীচে গঙ্গার ধারে একটা পাট-বােৱাই ভক্ত মাৰিষাল্লারা স্নান্নবাড়ার উদ্যোগ করছিল। খ্ৰীষ্টীন ভাবছিৰা-এই তো বৃহত্ত জীবন, নৃত্যুর পর যা সে লাভ করেচে। কোথায় বাংলাদেশের এক ছোট গ্রামে সে ছিল বন্দী, সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেল তার জীবন-পৃথিবীর অতীত কত্ব লোকে কত স্তরে এমনি কত নিস্তব্ধ শরৎ দুপুরে, অপরাঙ্কে, কত বসন্তদিনের আসন্ন বেলায়, কত জ্যোৎস্নারাত্ৰিতে তার ইচ্ছামত অভিযান ভবিষ্কৃতের ক্ষেত্রে জমা রয়েচে! এমন সব সুখের দিনে শুধু মনে হয় সেই হতভাগী- , দেবতা তার ভ্রমণের কাহিনী বলতে লাগলেন । , , সে ভারি চমৎকার কথা। তাঁর সব কথা পুষ্প বা যতীন বুঝতে পারছিল না। তবুও তারা মুগ্ধ হয়ে গেল তীর উৎসাহদীপ্ত মুখের ভঙ্গীতে, কথার স্কুরে ; কত লক্ষ বৎসর পূৰ্ব্বে তিনি বেরিয়েচেন বিশ্বভ্রমণে । কত গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্রজগৎ, কত ছায়াপথ, নীহারিকাপুঞ্জ মানসগতিতে ভ্ৰমণ করেচেন। আলো বা বিদ্যুতের যেখানে পেঁৗছতে লক্ষ লক্ষ বৎসর লাগে-সে সব সুন্দর নক্ষত্রমণ্ডলী পারস্থন্ধেও লক্ষ আলোকবর্ষ দূরের অঞ্চলে চলে গিয়েচোন! তখনও দেখেচোন বহু দূত্ত্বে স্বাক্স । এক অজানা বিশ্বের সীমা মহাশূন্যের প্রান্তে আবছায়া দেখা যায়। আব্বল্প লে। বিশ্বেও পৌছেচোন, আবার অগণিত নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, নীহারিকােরাজির মধ্যে দিয়ে দেবতার অমিত গতিতে বহু শত বৎসরু ধরে ছুটে গিয়ে যেমন তার সীমা ছাড়িয়েচেন, আবার দূরে দেখতে পেয়েচেন আর এক রহস্যময় অজ্ঞাত বিশ্বের ক্ষীণ সীমান্তবৰ্ত্ত ক্ষীণালোক তারকামণ্ডলী , কত প্ৰজিলন্ত নক্ষত্র, কত স্বয়ম্প্রভ বাষ্পমণ্ডলী লক্ষ লক্ষ যোজন বিস্তৃত হয়ে রয়েচে শূন্থের দিগন্তু থেকে দূত্ব দিগন্থে: w ·。徽 অবশেষে এই বৰ্ত্তমান বিশ্বটীয় পৌঁছে গ্ৰহনক্ষত্রের গোলকধাঁধার মধ্যে কি? দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন ।-- 桑 'পুষ্প বল্লে-আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন ? . দেবতা বল্পেী-স্ত। অসম্ভব । এই গ্রহের বিভিন্ন আত্মিক স্তুর ছেড়ে তোমরা ४१ কোথাও যেতে পারবে না। এর স্বল্পকর্ষণে টেনে রাখবে। সে দেহ তোমাদের দেখতে পাচ্চ না, আমি পার্মি, ফ্লোমাদের এই একটাব তৈরী হয় নি। তবে আর কিছুকাল অপেক্ষা কর । কাছাকাছি বহু অদ্ভুক্ত জগৎ আছে, সেখানে তোমাদের নিয়ে যাবো ; আমায়ু স্মরণ ক’রো না-তাতে আমি আসবাে না। যখন তােমরা তার উপযুক্ত হয়েচ বুঝবো-আমি নিজেই