পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এনে মোটশ্বভ্যান বােঝাই করচে। গাড়ীটা, ময়লা ফেলা গাড়ীর মত বােঝাই, হয়ে গিয়েছে মৃতদেহের ভূপে। তার মধ্যে বৃলিক, বৃদ্ধ ঘূৰা, শিশু সকলের । মৃতদেহই মুছে ' পচা মড়ার গন্ধে চারিদিক নিশ্চয়ই পূর্ণ, কারণ যে, সব জেলকয়েদী মূৰ্দািফরাসের কাজ করচে, তাদের নাকে মুখে কাপড় বাধা । दौळ६न नृश। . বোগাজীর্ণ ও অনাহারুশীৰ্ণ লোক দলে দলে শহরের দিকে চলেচে-সকলের ভাগ্যে শহরে পৌঁছানো ঘটবে না, পথেই মূৰ্দ্ধেক লোক মরবে। তারপর আছে। পুলিলের মােটরভান ও জেলকয়েদ মুৰ্দািফরাসের দল। যারা শহরে পৌঁছুচ্চে, তারা অনেকে সেখানে দুর্বল শরীরে দুরন্তু শীতের আক্রমণ সহ্য করতে না পেরে পডমোটর ওপর ল্যাম্প-পোস্টের তলায় মরে পড়ে থাকবে। বেচারীরা ল্যাম্পপোস্টের তলায় আশ্ৰয়'নিচ্চে ওপরের আলোটা থেকে এতটুকু উত্তাপ পাবার মিথ্যা। আশায়। তারন্ধর তাদেরও জন্যে রয়েচে পুলিশের মোটরুভ্যান ও সেই জ্বোলকয়েদী শ্মশানবন্ধুর দল। পথের ধারে বসে এক জায়গায় দুভিক্ষক্লিষ্ট আট বছর বয়সের বড়ভাই পাঁচ বছর বয়সের শীর্ণকায়ু, কঙ্কালসার ছােটভাইকে একটা ভাঙা তােবড়ানো, রাস্তার ধারে কুড়োনো টিনের মধ্যে করে মুম্বােরর ডাল সিদ্ধ মুখে তুলে খাওয়াচ্চে { জুই সব অসন্থায় ছেলেমেয়ের কষ্ট সকলের চেয়ে বেশী-দেবীর চোখে জল এল এদের কষ্ট। অধিকাংশ ছেলেমেয়ের বাপ-মা তাদের শহরে ছেড়ে দিয়ে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে গিয়েচে—এই আশায় যে, শহরে থাকলে তবু তাদেণ্ঠ পাঁচজনে দয়া করবে, একেবারে না খেয়ে মরবে না, কোনো কোনো স্কেলমেয়ের বাপ-মা অনীহারের ও রোগের কষ্টে পথের ধারেই ইহলীলা সংবরণ করে লাস-বোঝাই মােটরভানে নিরুদেশীযাত্রা করেচে স্বায়ুও কয়েকটি আত্মা এদের মধ্যে কাজ করচে দেখা গেল। ... দেবীকে দেখে একটি মেয়ে এগিয়ে এলেন। এর দেহ অতি সুন্দর, স্বচ্ছ, হুনীল জ্যোতিমণ্ডিত-দেখেই বোঝা যায়ু খুব উচ্চ শ্রেণীর আত্মা ! * - এদের কাজ দেখে মনে হােল দুভিক্ষে মৃত ব্যক্তিদের আত্মা যাতে আত্মিকলোকে এসে দিশাহারা হয়ে কষ্ট না পায়-সেই দেখতেই भज गभसिद्ध বহু দিন, আগে ভলগা নদীর ধারে একটি গ্রান্ধে এক কৃষকপরিবারে আমি জন্ম ििहनाम-शद আইভ্যানের রাজত্বকঁলে। রাশিয়ায় কৃষকেরা মুক্তি