পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আমাকে ও দেখতেই পায় না। ওর নিজের লোক যারা মারা গিয়েচে, কখনো, কেউ আসে না। তাই তোমাদের এনেচি আঙ্গ, * যতীন বলে-আঁশ্চৰ্য্য ! ! দেবী বল্পেন-মরে গিয়ে বুঝতে না পারা আত্মিক লোকের এক রকম রোগ। পুরোনো হয়ে গেলে ঐ রোগ সারানো বড় কঠিন, কারণ মৃত্যুর প্রকৃত স্বরূপ কখনাে 7 জানার দরুন ওই সব অঙ্ক নিম্ন আত্মারা বেঁচে থাকার সঙ্গে মৃত্যুর পরের অবস্থার সূক্ষ্ম পার্থক্যটুকু আদৌ বুঝতে পারে না। এমন কি বুঝিয়ে না। দিলে ঘাট, সম্ভৱ, একশো, দুশো বছর এ রকম কাটিয়ে দেয়, এমন ব্যাপােরও যতীর্ণ এমন ব্যাপার কখনো শোনেনি! সঙ্গে সঙ্গে এই হতভাগ্য, বন্ধুহীন, দুৰ্গ, অসহায় কৃষ্ঠের ওপর তার সহানুভূতি হােল। করুণাদেবী সত্যই যায়ী বটে, পৃথিবীর এই সব হতভাগ্যদের খুজে খুজে বার করে তাদের সাহায্য করা উঁর কাজ, তিনি যদি দেবী না হবেন, তবে কে হবে ? যতীন বক্সে-আচ্ছা এই খড়ের ঘরটাএবার উত্তর দিলে পুষ্প। বল্লে-বুঝলে না! ওর আসল পৃথিবীর ঘরখানা কোন কালে পড়ে ভূমিসাৎ হয়ে গিয়েচে । কিন্তু সেই ঘরখানার ছবি ওর মনে তাে আছে-ওল্প চিন্তা সেই ছবির সাহায্যে ঘরটা গড়েচে-যেমন আমার তৈরী গঙ্গা আর কেওটার বুড়োশিবতলার ঘাট। এ লোকে তো ও তৈরী করা कन নয় । অনেক সময় আপনা-আপনি হয়। ~ ' -፳> দেবী বলেন-পুষ্পকে আর আমাকে ও তো দেখতে পাবেই না। যতীন এগিয়ে গিয়ে দাড়াও তো। ওর সামনে! সদ্ধা হয়ে গেল ! জঙ্গলের মধ্যে ঘন অন্ধকারে ঝোপে ঝাড়ে জোনাকি * পোকা জ্বলে উঠলো। যতীন গিয়ে বুড়োর সামনে দাঁড়ালোঁ, কিন্তু তার ফল ফুেলেঃউন্টে। বৃদ্ধ ওকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে চীৎকার করে। উঠলো এবং ঠক্ ঠক্‌ করে কঁাপিতে লাগলো। দেবী বলেন, ও তোমাকে দেখতে পেয়েছে, - কিন্তু ভাবৃচে তুমি স্কৃত। e - পুষ্প ভাবলে, কি মজার কাণ্ড দ্যাথো! ভূত হয়ে ভূতের ভয়ঙ্করচে! -- দেবী বন্ধেন-গুর সঙ্গে কথা বলেঃ- s স্বতীন বন্ধে-ভগ্ন কি খুঁড়ো কৰ্ত্তা! ভয় পাচ্চ কেন ? ) ಫ್ಲಿಬ್ಡಿ, ' বৃদ্ধ ভয়ে কঁপিছে আর রায় বাম "চে। বর্তনের হাসি পেল কিন্তু দেবী সামনে রয়েচেন বলে সে অতি কষ্টে চেপে &গল। ప్లే స్టే $: