পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'कन वाह যেন আজকের উৎসবের সঙ্গে তার কোনো যোগ নেই।--রািগ্লন্ধে মাঝে চোখের উদগত অশ্রু আঁচল দিয়ে মুছে ফেলে ভয়ে ভয়ে চকিতদূষ্টতে

  • ালয় একটা ব্যঙ্কতা ও উৎসাহেয় ?

রো আঠারো বছরের কিশোরীনিরানন্দ মুখে ঘরের এক কোণে চারিদিকে চাইচে, কেউ দেখতে না পায় । দেবী বন্ধোন-ওই যে মেয়েটা দেখচোঁ, ওস্ত্ৰ নাম সুধা, বিয়ে ওর ছোট বোনের। ওই মেয়েটার দুঃখে আমি এত কষ্ট পাচ্চি যে স্বর্গে থাকা আমার দায় হয়ে উঠচে। ও অত্যন্ত প্রেমিকা মেয়ে-অত অল্প বয়সে অত ভাবপ্রবণ। * প্ৰেম-পাগলিনী মেয়ে বড় একটা দেখা যায় না। ও আজ। शछ्त्र-श्रे विश्द} তু হয়েচে-তের বছরে বিবাহ হয়েছিল। স্বামী বেঁচে ছিল বছর দুই। এই দু বছরে স্বামীকে ও প্রাণ দিয়ে ভালবেসেছিল। বােজ রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে কাজে । আজ ওর ছোট বোনের বিয়ে । ওর কেবলই মনে হচ্চে ওর বিয়ের দিনটি কথা। আজ সারাদিন লুকিয়ে কঁদিচে পাছে মা বাবা মনে কষ্ট পায়। আমার আর সন্ধু হয় না। ওরা দুঃখ-কি যে করি। তার চেয়েও করুণ ব্যাপার , হচ্ছে এই যে, মেয়েটিকে আমি তিনজন্ম ধরে লক্ষ্য করচি, তিন জন্মই ওর ༦། অবস্থা, বিয়ের অল্পদিন পরেই বিধবা হচ্চে। অথচ কি ভালবাসার পিপাসা ওর! কি প্রেমপ্রবণ হৃদয়!--আর দেখচোঁ তো, গরীব ঘরের মেয়ে! পুষ্পের হৃদয় গলে গেল অভাগী বালিকার জীবনের ইতিহাস ইিঞ্জনে । চোখে জল এল। সে বল্লে-কিন্তু আপনার তাে অসীম শক্তি, আঁপনি তাে ইচ্ছে করলেই ওর উপায় হয় ? দেবী বিষন্ন মুখে বল্লেন-ত হয় না, পুষ্প ! কেন হয় না, চল তোমায় দেখাবো। তুমি আগে যাঁও- আমি কিছু পরেই যাবাে- যতীনকে নিয়ে তুমি, 5ă se লক্ষ লক্ষ মাইল চােখের পলকে অতিক্রম করে পুষ্প এল ওদের বুড়েশিবতলার বাড়ীতে। যতীনকে সঙ্গে নিয়ে তারপর সে চলে এল সুধাদের মেত বাড়ীতে। সুধাদের বাড়ী তখন বক্স এসেচে। মেয়ের হুলু দিয়ে শাক বাজিয়ে । বরকে এগিয়ে নিয়ে এল। সুধার সেখানে যাবার উপায় নেই-বাড়ীর বিধবা মেয়ে, মাঙ্গলিক কোনো অনুষ্ঠানে আজ তার সামনে থাকবার জো নেই। তবুও লে কৌতূহলথুষ্টতে ঘরের জানালার গরদে ধরে উঠােনের দিকে চেয়ে দাঁড়িয়ে यश (अशांत ! কৌতূহল অল্পক্ষণের জন্তু তার শোককে জয় করেচে। ༢,་རྙིང་