পাতা:দেবী চৌধুরানী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DD DDB BB DDD BBBS BBBB BB BBB BBB BBB BBBSgS S - चार्शवित अड বজরা তখন তীরবেগে ছুটিল। এদিকে দেখা গেল, বহুসংখ্যক পথিক বা হাটুরিয়া লোকের মত লোক, নীতীরে জঙ্গলের ভিতর দিয়া বজরার সঙ্গে দৌড়াইয়া যাইতেছে । তাহাদের হাতে কেবল এক এক লাঠি মাত্র-কিন্তু বজরার ভিতর বিস্তর চাঙ্গ, সড়কি, বন্দুক আছে । ইহারা দেবীর “বল্লুকদাজ” সৈন্ত . - সব ঠিক দেখিয়া, দেবী স্বহস্তে আপনার শাকায় পাকের জন্ত হাড়িশালায় গেল। হায়! দেবী -তোমার এ কিরূপ সন্ন্যাস ! . ‘. . . . . . . . . একাদশ পরিচ্ছেদ সোমবারে প্রাতঃস্থর্যাপ্রভাসিত নিবিড় কাননাভ্যস্তরে দেবী রাণীর দরবার” বা “এজলাস”। সে এজলাসে কোন মোকদ্দমা মামলা হইত না। রাজকাৰ্য্যের মধ্যে কেবল একটা কাজ হইত—অকাতরে দান । নিবিড় জঙ্গল—কিন্তু তাহার ভিতর প্রায় তিন শত বিঘা জমি সাফ হইয়াছে। সাফ হইয়াছে, কিন্তু বড় বড় গাছ কাটা হয় নাই—তাহার ছায়ায় লোক দাড়াইবে । সেই পরিষ্কার ভূমিখণ্ডে প্রায় দশ হাজার লোক জমিয়াছে—তাহারই মাঝখানে দেবী রাণীর এজলাস। একটা বড় সামিয়ানা গাছের ডালে ডালে বাধিয়া টাঙ্গান হইয়াছে। তার নীচে বড় বড় মোটা মোটা রূপার ডাণ্ডার উপর একখানা কিংখাপের চাদওয়া টাঙ্গান—তাতে মতির ঝালর । তাহার ভিতর চন্দনকাষ্ঠের বেদী। বেদীর উপর বড় পুরু গালিচা পাতা । গালিচার উপর একখানা ছোট রকম রূপার সিংহাসন। সিংহাসনের উপর মসনদ পাতা—তাতাতেও মুক্তার ঝালর । দেবীর বেশভূষার আজ বিশেষ জাক । শাড়ী পরা। শাড়ীখানায় ফুলের মাঝে মাঝে এক একখানা হীরা। অঙ্গ রত্বে খচিত—কদাচিৎ মধ্যে মধ্যে অঙ্গের উজ্জল গৌরবর্ণ দেখা যাইতেছে। গলায় এত মতির হার যে, বুকের আর বস্ত্র পর্য্যস্ত দেখা যায় না। মাথায় রত্নময় মুকুট। দেবী আজ শরৎকালের প্রকৃত দেবীপ্রতিমা মত সাজিয়াছে। এ সব দেবীর রাণীগিরি। দুই পাশে চারি জন মুসজ্জিতা যুবতী স্বর্ণদণ্ড-চামর লইয়া বাতাস দিতেছে। পাশে ও সম্মুখে বহুসংখ্যক চোপদার ও আশাবার বড় জাকের পোশাক করিয়া, বড় বড় রূপার আশা ঘাড়ে করিয়া খাড়া হইয়াছে। সকলের উপর জাক, বরকন্দাজের সারি। প্রায় পাঁচ শত বস্তৃকন্দাজ দেবীর সিংহাসনের দুই পাশে সার দিয়া দাড়াইল । সকলেই সুসজ্জিত—লাল পাগড়ি, লাল