পাতা:দেবী চৌধুরানী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्लेशैग्न ५७-विजैग्न श्रक्रिक ذوذ বুলিতেছিলাম ন-আমি প্রত্যক্ষ করার কথা বলিতেছিলাম। প্রত্যক্ষ ছয় রকম । তুমি যে প্রত্যক্ষ দেখার কথা কহিতেছিলে, সে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ-চক্ষের প্রত্যক্ষ। আমার গলার আওয়াজ তুমি শুনিতে পাইজেছ—আমার গলার আওয়াজ তোমার শ্রাবণ প্রত্যক্ষ, অর্থাৎ কানের প্রত্যক্ষের বিষয় হইতেছে। আমার হাতের ফুলের গন্ধ তোমার নাকে যাইতেছে কি ?” দিবা। যাইতেছে। “ . so o দেবী । ওটা তোমার স্ত্ৰাণজ প্রত্যক্ষ হইতেছে। আর আমি যদি তোমার গালে এক চড় মারি, তাহা হইলে তুমি আমার হাতকে প্রত্যক্ষ করিবে—সেটা স্বাচ প্রত্যক্ষ। আর এখনি নিশি যদি তোমার মাথা খায়, তাহা হইলে, তোমার মগজটা তার রাসন প্রত্যক্ষ হইবে। দিবা। মন্দ প্রত্যক্ষ হইবে না। কিন্তু পরমেশ্বরকে দেখাও যায় না, শোনাও যায় না, শোকাও যায় না, ছোয়াও যায় না, খাওয়াও যায় না। তাকে প্রত্যক্ষ করিব কি প্রকারে ? নিশি। এ ত গেল পাচ রকম প্রত্যক্ষ । ছয় রকম প্রত্যক্ষের কথা বলিয়াছি ; কেন না, চক্ষু, কর্ণ, নাসিক, রসনা ও ত্বক ছাড়া আর একটা জ্ঞানেশ্রিয় আছে, জান না ? দিবা । কি, দাত ? নিশি। দূর হ পোড়ারমুখী ! ইচ্ছা করে, কিল মেরে তোর সে ইঞ্জিয়ের পাটিকে পাটি ভেঙ্গে দিই। দেবী। (হাসিতে হাসিতে) চক্ষুরাদি পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয় ; হস্তপদাদি পাঁচটি কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়, আর ইন্দ্রিয়াধিপতি মনঃ উভয়েস্ক্রিয় অর্থাৎ মন জ্ঞানেশ্রিয়ও বটে, কৰ্ম্মেন্দ্রিয়ও বটে। মনঃ জ্ঞানেশ্রিয় বলিয়া মনের দ্বারাও প্রত্যক্ষ আছে। ইহাকে মানস প্রত্যক্ষ বলে। ঈশ্বৰ মানস প্রত্যক্ষের বিষয় । - নিশি। “ঈশ্বরাসিদ্ধেঃ—প্রমাণাভাবাৎ ” • যিনি সাংখ্যপ্রবচনসূত্র ও ভাষা পড়িয়াছেন, তিনি নিশির এই ব্যঙ্গোক্তির মৰ্ম্ম বুঝিবেন। নিশি প্রফুল্লের এক প্রকার সহাধ্যায়িনী ছিল। প্রফুল্ল উত্তর করিল, “মুত্রকারস্তোভয়েশ্রিয়শূন্যস্থাৎ—ন তু প্রমাণাভাবাৎ " | দিবা। রেখে দাও তোমার হাবাৎ মাবাৎ—আমি ত পরমেশ্বরকে কখন মনের ভিতর দেখিতে পাই নাই। - - প্রফুল্ল। আবার দেখা ? চাক্ষুষ প্রত্যক্ষই দেখা—অস্ত কোন প্রত্যক্ষ দেখা নয়,— মানস প্রত্যক্ষও দেখা নয়। চাকুষ প্রত্যক্ষের বিষয়-রুপ, বহির্বিবষয় ; মানস প্রত্যক্ষের বিষয় —অন্তর্বিষয়। মনের দ্বারা ঈশ্বর প্রত্যক্ষ হইতে পারেন। ঈশ্বরকে দেখা যায় না। ।