#. . . প্র। কে আমাকে মল্লযুদ্ধ শিখাইবে । পুরুষ মানুষের কাছে আমি মল্লযুদ্ধ শিখিতে । ভ। নিশি শিখাইবে। নিশি ছেলেধরার মেয়ে। তারা বলিষ্ঠ বালক বালিকা ভিন্ন । দলে রাখে না। তাহাদের সম্প্রদায়ে থাকিয়া নিশি বাল্যকালে ব্যায়াম শিখিয়ছিল। আমি । এ সকল ভাবিয়া চিন্তিয়া নিশিকে তোমার কাছে পাঠাইয়াছি। " . . . . প্রফুল্ল চারি বৎসর ধরিয়া মল্লযুদ্ধ শিখিল। , ስ'. ' * ... প্রথম বৎসর ভবানী ঠাকুর প্রফুল্লর বাড়ীতে কোন পুরুষকে যাইতে দিতেন না বা । তাহাকে বাড়ীর বাহিরে কোন পুরুষের সঙ্গে আলাপ করিতে দিতেন না। দ্বিতীয় বৎসরে আলাপ পক্ষে নিষেধ রহিত করিলেন। কিন্তু তাহার বাড়ীতে কোন পুরুষকে যাইতে দিতেন না। পরে তৃতীয় বৎসরে যখন প্রফুল্ল মাথা মুড়াইল, তখন ভবানী ঠাকুর বাছা বাছা শিষ্য সঙ্গে লইয়া প্রফুল্লের নিকট যাইতেন—প্রফুল্ল নেড়া মাথায়, অবনত মুখে তাহাদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় আলাপ করিত। চতুর্থ বৎসরে ভবানী নিজ অনুচরদিগের মধ্যে বাছা বাছ লাঠিয়াল লইয়া আসিতেন ; প্রফুল্লকে তাহাদের সহিত মল্লযুদ্ধ 'ಇಲ್ಲ বলিতেন। প্রফুল্ল তাহার সম্মুখে তাহাদের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করিত। পঞ্চম বৎসরে কোন বিধি নিষেধ রহিল না। প্রযোজনমত প্রফুল্ল পুরুষদিগের সঙ্গে আলাপ করিত, নিম্প্রয়োজনে করিত না। যখন প্রফুল্ল পুরুষ মানুষদিগের সঙ্গে আলাপ করিত, তখনু তাহাদিগকে আপনার পুত্ৰ মনে করিয়া কথা কহিত। এই মত নানারূপ পরীক্ষা ও অভ্যাসের দ্বারা অতুল সম্পত্তির অধিকারিণী প্রফুল্লকে ভবানী ঠাকুর ঐশ্বৰ্য্যভোগের যোগ্য পাত্রী করিতে চেষ্টা করিলেন। পাঁচ বৎসরে সকল শিক্ষা শেষ হইল । একাদশীর দিনে মাছ ছাড়া আর একটি বিষয়ে মাত্র প্রফুল্ল ভবানী ঠাকুরের অবাধ্য হইল। আপনার পরিচয় কিছু দিল না। ভবানী ঠাকুর জিজ্ঞাসাবাদ করিয়াও কিছু জানিতে পারিলেন না । - - ষোড়শ পরিচ্ছেদ পাঁচ বৎসরে অধ্যাপন সমাপ্ত করিয়া, ভবানী ঠাকুর প্রফুল্পকে বলিলেন, “পাচ বৎসর হইল, তোমার শিক্ষা আরম্ভ হইয়াছে। আজ সমাপ্ত হইল। এখন তোমার হস্তগত ধন,
- @ Kool Warren Hastings frog fiftāstga