( ৫ )
টাঙ্গাইল হইতে মুন্শী আবদুল হামিদ খাঁ ইউসফজী লিখিয়াছেন—
“মহোদয়, আপনার লিখা উচ্চ শ্রেণীর শিক্ষিত সুধীগণের অনুমোদনীয় পরিমার্জ্জিত রুচিসম্পন্ন এবং শিক্ষনীয়। অনেক হিন্দু, ব্রাহ্ম শ্রেষ্ট শ্রেষ্ট লিখকগণের লিখার সমতুল্য। ফলতঃ আপনি নব্য মুসলমান লিখকদিগের মধ্যে একজন উজ্জ্বল রত্ন। যদিও আপনাকে চিনিনা, জানিনা, তথাপি আপনার পুস্তক গুলিই হৃদয় মুগ্ধ করিয়াছে। দয়াময় পরমেশ্বর আপনাকে দীর্ঘজীবি এবং কীর্ত্তিশীল করুন।”
ভারতী বলেন,—গ্রন্থখানি পাঠ করিয়া আমরা প্রীতিলাভ করিয়াছি। ইহাতে মক্কার ইতিহাস বেশ সুশৃঙ্খল ধারা বাহিকতার সহিত বর্ণিত হইয়াছে। ভাষাটুকু সুন্দর। গ্রন্থকার এই গ্রন্থ প্রকাশ করিয়া হিন্দু ও মুসলমান উভয় সমাজের ধন্যবাদ ভাজন হইয়াছেন।
বঙ্গবাসী বলেন—যোগ্য ব্যক্তি যোগ্য বিষয় লিখিয়াছেন। যাঁহারা না পড়িয়াছেন, তাঁহাদের কাছে সবই নূতন।
ঢাকাপ্রকাশ বলেন—মক্কা-শরীফ মুসলমানগণের শ্রেষ্ঠ তীর্থ। এই পবিত্র নগরীর ইতিবৃত্ত সম্বন্ধে সাধারণ পাঠকের বিশেষ কিছুই জানিবার উপায় ছিলনা; মৌলভী সাহেবের যত্নে এত দিনে সে অভাব পূর্ণ হইল। আলোচ্য গ্রন্থে মক্কা-শরীফের সম্বন্ধে বহুবিধ পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক জ্ঞাতব্য বিষয় সন্নিবেশিত হইয়াছে। গ্রন্থের ভাষা সর্ব্বত্রই প্রাঞ্জল এবং প্রাণস্পর্শী।
সময় বলেন,—বঙ্গভাষায় মক্কা-শরীফের ইতিহাস আর নাই। সুতরাং ইহার দ্বারা বঙ্গ সাহিত্যের এক বিশেষ অভাব পূর্ণ হইল। আমরা মনে করি, মুসলমানদের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুরাও ইহা পাঠ করিয়া উপকৃত হইবেন। ইহার ভাষা উত্তম ও সরল হইয়াছে। মৌলভী