পাতা:দেবী রাবিয়া - রাহাতুন্নেছা খাতুন.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দেবী রাবিয়া।

করিতেছে। তিনি এই মনোরম দৃশ্যে আরও মুগ্ধ হইয়া, আরও বিস্মিত হইয়া বলিয়া উঠিলেন, “―চলি, শীঘ্র চলি। শরীরের সবটা শক্তি একত্র করিয়া ঐ বাঞ্ছিত তীর্থে উপস্থিত হইয়া জীবনের অভিসম্পাৎ দূর করি।”

 আশার উত্তেজনায় বৃদ্ধ কোনোরূপে পথ অতিক্রম করিতে লাগিলেন। নতুবা এমন ক্ষীণপ্রাণ, এমন দুর্ব্বল ব্যক্তি বাহন ব্যতীত এক পা চলিতেও পারে না। কিন্তু এ কি? মাইল খানিক চলিয়াও তো সে হ্রদের তীরে উপনীত হইতে পারিলেন না। তিনি বিস্মিত নয়নে চাহিয়া দেখিলেন, সেই শান্ত স্নিগ্ধ মনোরম বিরাম-কুঞ্জ ঠিক্‌ সেই ভাবেই তত দূর পথেই সম্মুখে বিরাজিত; অথচ সেই মহাতীর্থ আরও অধিকতর

২২