পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ অমায়িকতা ও সহৃদয়তা তিন চারি বৎসর পূর্বে একবার দেওঘর যাইবার সময় যশিদি ংসনে শুনিলাম দেশবন্ধু আমাদের ট্ৰেণেই কলিকাতা হইতে যশিদি জংসনে নামিয়াছেন, তিনি রিখিয়া যাইবেন । বন্ধুরা আমায় সুবিধাবাদী বলেন, সুতরাং আশ্চৰ্য্য নয়, আমার লোভ হইবে এই সুযোগে একবার মহাপুরুষ দর্শন করা। প্লাটফৰ্ম্মে দেখিলাম, এটৰ্ণি শ্ৰীযুক্ত কুমারীকৃষ্ণ দত্ত মহাশয় । তিনি আমাকে চিনিতেন । তাহার নিকট মনোভােব জ্ঞাপন করিতে তিনি আমাকে যত্ন করিয়া দেশবন্ধুর নিকট লইয়া গেলেন। আমি সেখানে গিয়া দেশবন্ধুর চরণাধুলি মস্তকে লইলাম। দেশবন্ধু একটু বিব্রত হইয়া আমাকে হাত ধরিয়া তুলিয়া পাশে বসাইলেন। কত বড় দেবতুল্য মহাপুরুষের পাশে বসিবার সৌভাগ্য ও গৌরব আমি সেদিন লাভ করিয়াছিলাম ! সেদিন প্ৰাণে প্ৰাণে বুঝিয়েছিলাম, কত উচ্চের নিকট কত নগণ্য তুচ্ছের সমাবেশ হইয়াছে। সাহস কিন্তু আমার অপ্রতুল ছিল না। দু’একটী কথা কহিবার প্রলোভন সেই সুবিধায় আমি সংবরণ করিতে পারি নাই । তাহার অমায়িকতার অন্তরালে বসিয়া আমি দু’একটি প্রশ্ন তাহাকে করিয়াছিলাম। আমি নগণ্য বলিয়া, উপেক্ষা করার পরিবৰ্ত্তে, তিনি আমার প্রত্যেক কথাটা আমাকে ভাল করিয়া,