পাতা:দেশবন্ধু রচনাসমগ্র.pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশের কথা জরাই ইংরাজ এ দেশে আসিয়াছিল। এইখানেই প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের যথার্থ মিলন। এই ক্ষেত্রেই Universal Brotherhood of man সম্ভব। তাই শুধু এই দিক দিয়া দেখিলেই দেখা যায়, the East and the west have met not in vain. অর্থাৎ প্রাচা ও প্রতীচ্য যে একত্র হইয়াছে— তাহা ব্যর্থ হইবে ন । এখন দেখা যাইতেছে যে, আমাদের দেশের উন্নতিসাধন করিতে হইলে আমাদের এই নব-জাগ্ৰত জাতিত্বের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া আমাদের ইতিহাসের ধারাকে উপলব্ধি করিয়া ও সাক্ষী রাখিয়া আমাদের দেশের সকল দিকের বর্তমান অবস্থা অালোচনা করিতে হইবে এবং সেই আলোচনার ফলে কি কি উপায় অবলম্বন করিলে আমাদের স্বভাবধর্মসঙ্গত অথচ সাৰ্বভৌমিক উন্নতি সাধিত হইতে পারে, তাছা নিৰ্ধারিত করিতে হইবে ।


কৃষকের কথা আমাদের বর্তমান অবস্থার কথা ভাবিতে গেলে প্রথমেই আমাদের কৃষি জীবীদের কথা মনে আসে, তার পরই আমাদের দারিদ্র্যের কথা মনে হয়। কুবকের কথা ও দারিদ্র্যের কথা একই কথা বলিয়া মনে হয়। । আমর সকলেই জানি যে, ব্যবসা-বাণিজ্যের অভাব কৃষিকাৰ্য্যই আমাদের উপজীবিকার প্রধান উপায় { আামরা সকলেই জানি যে, বাঙ্গালী জাতির মত এত দরিদ্র জাতি বোধ হয় জগতের আর কোথাও নাই। কিন্তু ঘোর দারিদ্র্যের প্রবৃত অবস্থা বোধ হয় ভাল করিয়া জানি না, সম্যকৃরূপে উপলব্ধি করিতে পারি না। জামরা. ত একেবারে এক মূহণ্ডে দরিদ্র হইয়া পড়ি নাই—আমরা যে ধীরে ধীরে ক্রমে ক্ৰমে কঙ্কালসার হইয়া পড়িয়াছি। তাই এই অতি সত্য যথার্থ অবস্থ৷ আমরা ঠিক ভাল কৰিয়া বুঝিতে পারি না। বিদেশীর যখন প্রথম আমাদের দেশে । আসে, তখন তাহারা আমাদের সোনারূপার প্রাচুর্য্য দেখিয়া অবাক ইয়া। গিয়াছিল। । সে সোনা-রুপ আাসিত কোথা হইতে ? বাঙ্গল দেশে ত সোনা-. রূপার খনি নাই। তবেই বলিতে হইবে যে, আমাদের ঐধিকার্য্য ও ব্যবসা-- বাণিজ্যের সাহায্যে আমরা অনেক অর্থ উপার্জন করিতাম। সরকারী কাগজপত্রে পাওয়া যায় যে, আমাদের সমস্ত জনসংখ্যা ধরিলে এবং জামাদের সমস্ত চাষযোগ্য ভূমি হিসাব করিলে জন পিছে ছই বিধারও.