রাজনৈতিক প্রবন্ধ বলে 'চাই,’ জগতে এমন কোন রাজশক্তি নাই—ম্বাহ৷ সেই সমবেত আাকাখার অগ্রতিহত বেগ বোধ করিতে পারে। এস ভাই খৃষ্টীয়ান, পৃষ্টের নামে প্রাণের গ্রাণে বল 'চাই ! এস ভাই মুসলমান, তুমি আমার নামে প্রাণে প্ৰাণে বল। ‘চাই ! এল ভাই হিন্দু, তুমি নারায়ণের নামে প্রাণকে সাক্ষী রাখিরা বল’ ‘চাই ! ঐ যে মা ডাকিতেছেন। এস, এস, সবাই এস! সম্মুখে বিস্তৃত কাৰ্য, এস, এস, সবাই এস! বল ঈশ্বর ! বল আল্লাবল নারায়ণ, বল বন্দেমাতরম।
স্বরাজ-সাধনা
স্বরাজ মানে কি ? আর অসহযোগ মানেই বা কি ? স্বরাজ মানে আর
কিছু নয়,- স্বরাজের এমন অর্থ হয় না হে পালামেন্ট থেকে একথানা এই
তৈয়ারী করে আমাদের উপহার দেবে। । স্বরাঙ্গ সে জিনিস নয় । কেন নয় ?
স্বরাজ মানে কি ? স্বরাজ মানে তোমার অন্তরে অস্তরে যে প্রকৃতি অাছে সে
প্রকৃতিকে উপলব্ধি করা। সবার উন্নতি এক রকমে হয় না, সব জাতির উতি
এক রকমে হয় না । । যেমন প্রত্যেক মাহুষের একটি স্বতন্ত্র প্রকৃতি, এক মহ৷
প্রকৃতির অধীন হলেও প্রত্যেক মামুষের একটা স্বতন্ত্র প্রকৃতি আছেতেমনি
প্রত্যেক জাতির একটা স্বতন্ত্র প্রকৃতি আছে, সে প্রকৃতির অঙুসরণ করে সে।
জাতির মধ্যে সন্ধান করতে হবে সেই প্রকৃতি যে প্রকৃতি জামরা হারিয়ে।
ফেলেছি, না—সে প্রকৃতি ঢাকা পড়েছে, কারণ প্রকৃতি কেহ হারাতে পারে
না । আমাদের অনেক দিনের পরাধীনতার চাপে বিলাস মোহে আমাদের
যা স্বরূপ অামাদের প্রত্যেকের অস্তরে অপ্তরে লুকিয়ে আছে, তার সাধনা,
তার সন্ধানই স্বরাজ। সে জিনিসটা কেউ দিতে পারে না। ইংরেজ একট।
শাসন প্রণালী দিতে পারে, ইংরেজ বলতে পারে গোলমালে কাজ কি ?
তোমরা স্বায়ত্তশাসন নাও। সেটা ত স্বরাজ নয়। সেট তোমার উপাৰ্জন
নয়, সাধনার ফল নয়। কেউ কি স্বরাজ দিতে পারে ? তোমাকে অর্জন
করতে হবে, তোমাকে নিজের সাধনায় য বাস্তবিক সত্য প্রকৃতি সে সত্য
প্রকৃতির সন্ধান করে তাকে বাহিরে উপস্থিত ক’রে জগতের সমক্ষে দাড়
করাতে হবে, এই স্বরাজের অর্থ । আমি সেদিন একটা কাগজে লিখেছিলাম কে
এই ঘরাজ-সাধনা আমাদের অধিকারে। তিন্সক মহারাজ বলেছেন স্বরাজ